(বাঁ দিকে) গৌরব গগৈ, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (ডান দিকে) সোমবার যোগ দিতে ঢুকছেন যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন বিরোধী দলগুলির বেশ কয়েক জন সাংসদ। সেই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ, ইমরান মাসুদ, ডিএমকের এ রাজা, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী)-র অরবিন্দ সবন্ত, এআইএমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, সমাজবাদী পার্টির মোহিবুল্লাহ, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহ। তাঁদের অভিযোগ, নীতি নিয়ম মেনে কাজ করছে না কমিটি। এর কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
সোমবার বৈঠক থেকে বেরিয়ে শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ অভিযোগ করেছেন, সংসদের নিয়ম মেনে কাজ করছে না কমিটি। ব্যক্তিগত অভিযোগ নিয়েও সেখানে আলোচনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকেও নিশানা করা হয়েছে। নিয়ম-নীতি মেনে কমিটি কাজ করেনি বলেই তাদের বৈঠক ‘বয়কট’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ।
বিরোধী দলের সাংসদদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনোয়ার মনিপ্পাড়ি এই বিষয়ে বক্তব্য রাখার পরেই বিতর্ক শুরু হয়। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদদের অভিযোগ, নিজের ভাষণে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার এবং মল্লিকার্জুনকে নিশানা করেছেন আনোয়ার, যা আদতে সংসদের নীতি-বিরোধী। এর পরেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেই নিয়ে এর পর নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠকে বসেন বিরোধী সাংসদেরা। যদিও বিরোধীরা সংসদীয় যৌথ কমিটির বৈঠক ‘বয়কট’ করলেও তা থামেনি। বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বে বিরোধীদের ছাড়াই চলে সেই বৈঠক।
ওয়াকফ সম্পত্তি দেখভালের জন্য ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইন তৈরি হয়। যদিও পরবর্তী কালে এই আইনে ‘ফাঁক’ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, সেই ‘ফাঁক’ গলে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। তার পরেই এই আইন সংস্কারের দাবি ওঠে। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এ দু’টি প্রস্তাব রয়েছে। এক, ওয়াকফ বোর্ডে মহিলাদের সংযুক্তি, কোনও জমি খতিয়ে দেখার পরেই তা ওয়াকফের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করতে হবে। এই নিয়েই আলোচনার মাঝে ভেস্তে গেল বৈঠক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy