ছবি: পিটিআই।
আগামিকাল ভোটের ফল বেরোবে দু’রাজ্যে। তবে গণনা শুরুর আগে এখন অনেকেরই নজর ইভিএমে। ওয়াইফাই বা মোবাইলের মাধ্যমে ইভিএমে কারচুপি হওয়ার আশঙ্কায় সমস্ত বুথে জ্যামার বসানোর দাবি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। হরিয়ানায় গণনা কেন্দ্রের বাইরে পাহারায় বিরোধীরা। ভয় একটাই— যদি হ্যাকড (কারচুপি) হয় ইভিএম!
মহারাষ্ট্র থেকে আসা বিভিন্ন অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আজও জানিয়েছে, দুই রাজ্যের ভোটে কোনও ইভিএমে কারচুপি হয়নি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার পর কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিরোধীদের এবং ভোটারদের একাংশের মনে প্রশ্ন রয়েছে।
ইভিএমে বিন্দুমাত্র ভরসা করছেন না মহারাষ্ট্রের ধুলে বিধানসভার নির্দল প্রার্থী অনিল গোটে। বিজেপির বিধায়ক হিসেবে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন। ভোটের দিন থেকে সঙ্গীদের নিয়ে গণনাকেন্দ্রের বাইরে ডেরা বেঁধেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ইভিএম বা নির্বাচন কমিশন, কারও উপর বিশ্বাস নেই। পুর ভোটে আমার পক্ষে আটজন ভোট দিয়েছিল। কিন্তু গুনে দেখি পেয়েছি মাত্র তিনটে ভোট। বাকি ভোট গেল কোথায়?’’ তাই এ বার ভোট শেষ হতেই চাদর পেতে বসে গিয়েছেন গণনা কেন্দ্রের বাইরে। উঠবেন গণনা শুরু হলে।
উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে অনিলের। মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার কোরেগাঁও কেন্দ্রের বুথ থেকে অভিযোগ উঠেছে, যে প্রার্থীর চিহ্নেই বোতাম টেপা হচ্ছে, সেই ভোট গিয়ে পড়ছে বিজেপির ঘরে। পরে সেখানে বদলানো হয় ইভিএম। যদিও দিল্লিতে কমিশন জানিয়েছে, ভোটের দিন ওই অভিযোগ জানিয়েছিলেন এনসিপি প্রার্থীর এজেন্ট দীপক পওয়ার। কিন্তু তদন্তে কিছু প্রমাণিত না হওযায় দীপকের বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে জনতাকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তবে কেন ওই কেন্দ্রের ইভিএম পরিবর্তন করা হল? কমিশন জানিয়েছে, সেই বদলের সঙ্গে ইভিএমে একজনের ভোট অন্যের ঘরে যাওয়ার সম্পর্ক নেই।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি বালাসাহেব থোরাট ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা জানিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন কমিশনকে। ওয়াইফাই-মোবাইলের মাধ্যমে যাতে কারচুপি না হয়, তার জন্য গণনাকেন্দ্রের বাইরে জ্যামার বসানোর পাশাপাশি প্রতিটি রাউন্ডের লিখিত ফল প্রকাশ ও সামান্যতম সন্দেহ হলে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের ফলাফল একাধিকবার তুলনা করে দেখার দাবি তুলেছেন তিনি। কমিশন কতটা দাবি মেনে নেয়, তা দেখা যাবে কাল। কিন্তু তারাও ক্রমশ বুঝতে পারছে, ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এখন সংশয়ী ভোটারদের একাংশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy