প্রতীকী ছবি।
বিমা আইন সংশোধনী বিলটিকে সংসদের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে আজ কংগ্রেসের নেতৃত্বে সরব হল একাধিক বিরোধী দল। প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই গত কাল বিলটি রাজ্যসভায় সংখ্যার জোরে পাশ করিয়েছে সরকার। প্রতিবাদে বিরোধীরা ওয়াক আউট করার পরে ধ্বনি-ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়। আজ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে অন্যান্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সঙ্গে ছিলেন বাম, এসপি, শিবসেনার সাংসদেরা।
খড়্গে বলেন, “বিলটিতে প্রচুর ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে। আমরা সংসদের ভিতরে একে রোখার জন্য লড়েছি। এটিকে অবিলম্বে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো উচিত। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সংসদের বাইরে এক রকম প্রচার করছেন আর ভিতরে সংসদকে ঠকাচ্ছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, এই বিলটিকে আইনে পরিণত করার মাধ্যমে শুধু মাত্র বিমা সংস্থায় ৪৯ শতাংশ থেকে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি লগ্নির অনুমতি-ই দেওয়া হচ্ছে না, এ দেশের বিমা সংস্থার মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ বিদেশি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার ছাড়পত্রও দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতার কথায়, ‘‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে লগ্নির নাম করে ১৫০ বছর রাজত্ব চালিয়েছিল। সে রকমই ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (গুজরাত) বেসরকারিকরণ চায়। বিদেশি লগ্নি চায়। তাই প্রধানমন্ত্রী এই সব আইন আনছেন।’’
বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, রেল, সড়ক, ব্যাঙ্ক-এর পরে এ বার দেশের বিমা সংস্থাকেও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এর ফলে তফসিলি জাতি ও জনজাতি, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত চাকরিও শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি বিরোধী নেতাদের। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য, ‘‘দেশের আইন যথেষ্ট পরিণত। বিদেশি সংস্থাগুলি টাকা নিয়ে চলে যাবে, আমরা বসে দেখব, সেটা হবে না।’’ তাঁর যুক্তি, বিমা সংস্থাগুলি নগদ পুঁজির অভাবে ধুঁকছে। ২০১৫-তে বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর পরে এখনও পর্যন্ত বিমা ক্ষেত্রে ২৬ হাজার কোটি টাকার বিদেশি লগ্নি এসেছে। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএ-র সঙ্গে আলোচনা করেই বিল তৈরি হয়েছে বলে নির্মলা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy