পিএম-কিসান প্রকল্প খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। ফাইল চিত্র।
বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমানো নিয়ে প্রশ্নে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের জবাব—পশ্চিমবঙ্গ সরকারই এর জন্য দায়ী।
লোকসভায় বাজেট-বিতর্কের জবাবে নির্মলার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের ৬৯ লক্ষ চাষি পিএম-কিসান প্রকল্পের টাকা পাননি বলেই ওই খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। তৃণমূল সাংসদদের লক্ষ্য করে অর্থমন্ত্রীর কটাক্ষ, “কৃষকদের জন্য কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করে লাভ হবে না।”
অর্থমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরে বিরোধী শিবির বলছে, পিএম-কিসান প্রকল্পে চাষিরা বছরে মাথা পিছু ৬ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। যদি পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লক্ষ চাষি তা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেনও, তা হলে ৪২০০ কোটি টাকা খরচ কমার কথা। বাজেটের হিসেব বলছে, মোদী সরকার পিএম-কিসানে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দোষে না-হয় ৪ হাজার কোটি টাকার মতো খরচ হয়নি। বাকি ৬ হাজার কোটি চাষিদের অ্যাকাউন্টে গেল না কেন?
অর্থমন্ত্রী সংসদে এর উত্তর না-দিলেও, কৃষি মন্ত্রকের সূত্র বলছে, সবটাই যে পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা তা নয়। আসলে পিএম-কিসান প্রকল্পে দেশের ১৪ কোটি কৃষককে বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু অর্থমন্ত্রী এ দিনও বলেছেন, এখনও পর্যন্ত সাড়ে ১০ কোটি কৃষক এই টাকা পেয়েছেন। অর্থাৎ কেন্দ্রই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। কারণ, বহু রাজ্যে এর সুবিধা পাওয়ার মতো কৃষকদের চিহ্নিতই করা যায়নি। চলতি অর্থ বছরে পিএম-কিসান প্রকল্পে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৪৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সে কারণেই সংশোধিত হিসেবে বরাদ্দ কমিয়ে ৬৫ হাজার কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থ বছরের জন্যও বরাদ্দ সেটাই রয়েছে। অর্থমন্ত্রী অবশ্য গোটা দায়টাই বঙ্গের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। এর আগে নরেন্দ্র মোদীও একাধিক বার পিএম-কিসানে সায় না-দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে দুষেছেন। গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে ঘোষণা করেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বকেয়া সমেত পিএম-কিসানের টাকা মিটিয়ে দেবে। আজ অর্থমন্ত্রীও লোকসভায় একই সুরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের কৃষকদের টাকা দিচ্ছেন, সেখানে একটা রাজ্যের সরকার নিশ্চিত করেছে যে চাষিরা যেন টাকা না-পায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy