—প্রতীকী চিত্র।
ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা আসনই বিজেপি পাচ্ছে বলে বুথ-ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলের আগে বিরোধীরা এই ফল মানতে নারাজ। তাদের দাবি, ২০০৪ সালেও এই ভাবে সব সমীক্ষায় দেশে আবার বিজেপি সরকার ফিরবে বলে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত ফল হয়েছিল তার উল্টো। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, আগের উদাহরণ কিছুই মিলবে না। ত্রিপুরার দু’টি আসন তারা ধরে রাখবে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের দ্বারা প্রকাশিত বুথ-ফেরত সমীক্ষা অনেক বারই মেলেনি, এমন ঘটনাও আছে। ২০০৪ সালেও সমীক্ষায় বিজেপি ক্ষমতায় ফিরছে বলে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফল তার উল্টো হয়েছিল।’’ জিতেন্দ্রর ব্যাখ্যা, বামপন্থীরা নির্বাচনকে একটি রাজনৈতিক সংগ্রাম হিসেবে নেন। সেখানে পিছিয়ে পড়লে মনখারাপ হতে পারে, তবে তা সাময়িক। কারণ, বামপন্থীদের কাছে জয়ের আনন্দ আর পিছিয়ে পড়ার মনখারাপ— সবই সাময়িক। তাঁর দাবি, সিপিএম মানুষের পাশে থাকবে, এটাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য।
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তথা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের অভিযোগ, ‘নরেন্দ্র মোদীর প্রচার চালানো সংবাদমাধ্যম’ বুথ-ফেরত সমীক্ষাকে নিজেদের মতো করে তৈরি করেছে। ভাল করে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে, এখানে কোনও কোনও রাজ্যের নির্দিষ্ট আসনে আদৌ প্রার্থী না-দেওয়া দলই অনেক বেশি আসন পাবে বলে দেখানো হয়েছে। সুদীপের দাবি, এটা করা হয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। তবে ফলাফল যা-ই হোক, কোনও রকম সংঘর্ষ যাতে না-হয়, সব দলকে সে দিকে নজর রাখতে আবেদন জানান সুদীপ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ বার বিজেপি চারশো আসন নিয়েই সরকার গড়ছে। এবং ত্রিপুরার দু’টি আসনেই বিজেপির প্রার্থীরাজয়ী হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy