পরীক্ষা না কি, পরীক্ষার নামে ‘প্রহসন’! হরিয়ানায় এমনই গোলমেলে দৃশ্য ধরা পড়ল। বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে পরীক্ষাকেন্দ্রের পাঁচিল টপকে, জানলা দিয়ে অবাধে টুকলি সরবরাহ করা হচ্ছে। যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। আরও একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের বারান্দায় সব পরীক্ষার্থী পাশাপাশি বসে বই, খাতা খুলে পরীক্ষা দিচ্ছে। তা-ও আবার বোর্ডের পরীক্ষায়। আবাধে গণটোকাটুকির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হরিয়ানার নানা প্রান্ত থেকে এমনই ছবি উঠে এসেছে। যা নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার হাল নিয়ে। ওই রাজ্যে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা চলছে। নুহ জেলার তাউরু এলাকার একটি স্কুলের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রের পাঁচিল টপকে জানলা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের টুকলি সরবরাহ করছেন এক দল যুবক। শুধু তাই-ই নয়, এমনও অভিযোগ উঠেছে, বুধবারের পরীক্ষা শুরুর পর পরই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পরীক্ষার্থীদের আত্মীয়েরা বিক্ষোভও দেখান।
বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও একই ছবি ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার ছিল ইংরাজি পরীক্ষা। নুহ জেলারই আর একটি স্কুল থেকে গণটোকাটুকির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। একের পর এক পরীক্ষায় নকল করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক ধর্মপাল দাবি করেছেন, কোনও ভাবেই নকল করতে দেওয়া হবে না পড়ুয়াদের। যারা নকল করবে, তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে আরও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন:
আর এক শিক্ষা আধিকারিক পরমজিৎ চহ্বাল বলেন, “কোনও পরীক্ষক যদি ছাত্রদের নকল করতে সাহায্য করেন বা এ বিষয়ে যদি তাঁদের কোনও ভূমিকা থাকে, তা হলে সেই সব পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।” প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি কিছু না বললেও, যে সব কেন্দ্রে নকলের ঘটনা ধরা পড়বে, সেই সব কেন্দ্রে পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবেন বোর্ডের চেয়ারম্যান।”