লাদাখ সীমান্তে টহল ভারতীয় সেনার। ফাইল চিত্র।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন হাতাহাতি এবং ছোটখাটো সংঘাতের আবহেই বেজিংয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। সরাসরি সাক্ষাতে এই ধরনের বৈঠক শেষ বার হয়েছিল ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। মাঝে কোভিড অতিমারির কারণে এই বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপর জোর দেয়।
যদিও পূর্বাঞ্চলে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কার্যকরী কোনও আলোচনা এই বৈঠকে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুই দেশের আলোচনার পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, “কোনও বিবাদ কিংবা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের সেনাবাহিনী আলোচনার ভিত্তিতে কিংবা কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজবে।” ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত এবং সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব।
গত ৩ বছরে বারো বারেরও বেশি সেনা পর্যায়ে এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনার পরেও লাদাখের প্যাংগঙ হ্রদ, গোগরা এবং হট স্প্রিং অ়ঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দু’পক্ষই। তবে দেপসাং এবং ডেমচক এলাকা নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। এখনও বিতর্কিত দুই অঞ্চলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বহু বার প্রকাশ্যেই চিনের বিরুদ্ধে ‘কথার খেলাপ’ করার অভিযোগ তুলেছেন। চিনের বিরুদ্দে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা না করে সীমান্তের স্থিতাবস্থা একপাক্ষিক ভাবে নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে ভারত। এই প্রেক্ষিতে এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ককে ‘স্বাভাবিক’ করবে কি না, তা-ই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy