Advertisement
E-Paper

বিহারের পর ঝাড়খণ্ড, ভারী বৃষ্টির জেরে গিরিডিতে ভাঙল নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ

শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। জলের তোড়ে সেতুর একটি স্তম্ভ এক দিকে হেলে যায়।

সেতুর ভাঙা অংশ।

সেতুর ভাঙা অংশ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ১৭:২২
Share
Save

বিহারের পর এ বার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড। ফের সেতু বিপর্যয়। শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই।

ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচী থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দূরে দেওরি ব্লকে আরগা নদীর উপরে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছিল। প্রবল বৃষ্টির কারণে নদীতে জলস্তর স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। কিন্তু জলের তোড়ে সেতুর একাংশ ভেসে যায়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, গিরিডির প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে মানুষ যাতে সহজে পাশের রাজ্য বিহারের জামুই জেলায় যেতে পারে, সেই লক্ষ্যেই সেতুটি তৈরি করা হচ্ছিল।

এই প্রসঙ্গে গিরিডির সড়ক নির্মাণ দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বিনয় কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “সেতুর একাংশ ভেঙে গিয়েছে এবং একটি স্তম্ভ হেলে গিয়েছে। সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনর্নির্মাণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। তবে এই সেতু তৈরি করতে মোট কত টাকা খরচ হচ্ছে, তা খোলসা করতে চাননি তিনি। তবে জানা গিয়েছে, সেতুর যে অংশটি ভাঙা পড়েছে, সেটি মাত্র এক সপ্তাহ আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল। ২৮ দিন ধরে চলেছিল সেতুর ওই অংশ নির্মাণের কাজ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মাত্র ৯ দিনের মধ্যে বিহারে পাঁচটি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে বিহারের মধুবনী জেলার ভেজা থানার মাধেপুর ব্লকে ৭৫ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু তৈরির কাজ চলছিল। বিগত তিন বছর ধরে সেতুটি তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই ধসে পড়ে কোশী নদীর উপরে নির্মীয়মাণ ওই সেতুটি। বৃহস্পতিবারই বিহারের কিসানগঞ্জ জেলায় একটি সেতু ভেঙে পড়ে। তার আগে ২৩ জুন পূর্ব চম্পারণ জেলায়, ২২ জুন সিওয়ানে এবং ১৯ জুন আরারিয়ায় তিনটি সেতু ভেঙে পড়ে।

bridge collapse Giridih Jharkhand

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}