রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর কেন্দ্রকে নিশানা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার। ফাইল চিত্র।
সংসদে তাঁর বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছে। ভাই রাহুলকে মির জাফর বলা হয়েছে। একের পর এর আপত্তিজনক মন্তব্য করা হয়েছে তাঁর পরিবার তুলে। কিন্তু তার পরেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বা নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। নাম না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।
মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে ২০১৯ সালের একটি মামলার ভিত্তিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাতের সুরাতের আদালত। তার ভিত্তিতেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। যে ঘটনা ঘিরে গোটা দেশ উত্তাল। রবিবার দিল্লির রাজঘাটে ‘সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ’-এর জনসভা থেকে সেই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “সংসদে আমার শহিদ বাবার নামে কুৎসা করা হয়েছে। মাকে অপমান করা হয়। ভাইকে মির জাফর নাম দেওয়া হয়েছে। আপনার দলের এক মুখ্যমন্ত্রী তো আবার বলেছিলেন, রাহুল তো জানেনই না, ওঁর বাবা কে! তার পরেও সেই সব নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।”
প্রিয়ঙ্কা প্রশ্ন তুলেছেন, এত কিছু বলার পরেও কেন তাঁদের অপসারিত করা হল না? কেন তাঁদের জেলে পাঠানো হল না? তার পরেও ওই সব নেতা-মন্ত্রীরা বছরের পর বছর ধরে নির্বাচনে লড়াই করে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, “পরিবার নিয়ে বার বার অপমানজনক কথা বলার পরেও আমরা চুপ থেকেছি।”
প্রিয়ঙ্কা স্মরণ করিয়ে দেন, কংগ্রেসের মতাদর্শে ঘৃণার কোনও স্থান নেই। তাই বার বার অপমানিত হওয়া সত্ত্বেও রাহুল কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর প্রতি যে কোনও বিদ্বেষ নেই, সে কথাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এখানেই মতাদর্শের ফারাক বলে দাবি করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
রবিবার প্রিয়ঙ্কার কথাতে ‘পরিবারবাদ’-এর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। তিনি আক্ষেপের সুরে জানান, ‘পরিবারবাদ’ নিয়ে বার বার কেন্দ্র এবং বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও ‘পরিবারবাদ’ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন একাধিক বার। তাঁর কথায়, “আপনারা ‘পরিবারবাদ’ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তাই আমার প্রশ্ন, ভগবান রাম কে ছিলেন? তিনি কি পরিবারবাদী ছিলেন? পাণ্ডবরা কি পরিবারবাদী ছিলেন?” প্রিয়ঙ্কা প্রশ্ন তোলেন, “দেশের জন্য আমার পরিবার লড়াই করেছে বলে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত?” এর পরই প্রধানমন্ত্রীকে ভীরু এবং উদ্ধত বলে আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy