Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Uttarkashi Tunnel Worker’s Experience

‘আমরা যে আটকে, কেউ জানত না’, সুড়ঙ্গের বাইরে কী ভাবে খবর পাঠালেন? কৌশল ফাঁস শ্রমিকের

সুড়ঙ্গে আটকে থাকা এক শ্রমিক জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে ধস নামার পর তাঁরা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ঘুটঘুটে অন্ধকারে আটকে ছিলেন। বাইরে কেউ জানতেন না তাঁদের এই বিপদের কথা।

One of the trapped workers says how they send signal outside tunnel

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর শ্রমিকদের অভিবাদন। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:০৭
Share: Save:

টানা ১৭ দিন যুদ্ধ চলেছে। শেষ হাসি হেসেছেন শ্রমিকেরাই। উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন মঙ্গলবার রাতে বেরিয়ে এসেছেন। সুড়ঙ্গের কাছে তাঁদের মালা পরিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। গোটা দেশ যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। উদ্ধারের পর সুড়ঙ্গের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন অখিলেশ সিংহ। সুড়ঙ্গে অন্যান্যদের সঙ্গে তিনিও আটকে ছিলেন। এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কী ভাবে ধস নামার পর সুড়ঙ্গের বাইরে খবর পাঠালেন তাঁরা।

অখিলেশ জানান, সুড়ঙ্গে কাজ সেরে ১২ নভেম্বর ভোরে সবে বাড়ি ফেরার পথ ধরেছিলেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে আচমকা থমকে যান। তীব্র শব্দ হয় চারদিকে। চোখের সামনে সুড়ঙ্গের সামনের দিকটি ধসে পড়তে দেখেন তিনি। এর পর ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা সুড়ঙ্গ।

গুমোট অন্ধকারে টানা ১৮ ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন অখিলেশরা। একে অপরকেও দেখতে পাচ্ছিলেন না ভাল করে। বাঁচার আশা প্রায় ছিল না। তাঁরা জানতেন যে, তাঁদের সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার খবর বাইরের কেউ জানেন না!

অখিলেশ জানান, সুড়ঙ্গে কাজ করার সূত্রে তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে আগেই। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে কী করতে হবে, শিখেছিলেন তাঁরা। সেই কৌশল কাজে লাগান। সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে জলের সঙ্কেত পাঠান বাইরে। যা দেখে বাকিরা বুঝতে পারেন তাঁদের কথা।

সুড়ঙ্গ থেকে একটি জলের পাইপ খুলে দিয়েছিলেন আটক শ্রমিকেরা। সেই জল বাইরে পৌঁছতেই বাকিরা সঙ্কেত পান। এর পর শুরু হয় উদ্ধারের প্রক্রিয়া। অখিলেশ জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে আরও বেশ কিছু দিন আটকে থাকতে হবে বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। এখনও অন্তত ২৫ দিনের খাবার সেখানে মজুত রয়েছে।

আগামীর পরিকল্পনা কী? অখিলেশ বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়ে গেলে আমি বাড়ি যাব। এক থেকে দু’মাসের টানা একটা ছুটি নেব। তার পর ঠিক করব, আগামী দিনে আমি কী করব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE