আরারিয়ার পর মুঙ্গের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিহার পুলিশের আরও এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরকে (এএসআই) খুনের অভিযোগ উঠল। মৃত এএসআইয়ের নাম সন্তোষ কুমার। ভাবুয়ার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ আপৎকালীন নম্বর ১১২-তে ফোন আসে। পুলিশকে জানানো হয়, আইটিসি নন্দলালপুরে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন এএসআই সন্তোষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’পক্ষের গন্ডগোল থামানোর চেষ্টা করেন এএসআই। দু’পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময়েই বিবদমান এক পক্ষ থেকে এএসআইয়ের উপর অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আচমকাই এক ব্যক্তি এএসআইয়ের মাথা লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারেন। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন এএসআই। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পটনা স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় এএসআই সন্তোষের। এই ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। কয়েক জনকে আটকও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবারই আরারিয়ার এক এএসআই রাজীব কুমারকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এক দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়েছিলেন রাজীব এবং তাঁর দল। দুষ্কৃতীকে ধরেও ফেলেন এএসআই। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশের হাত থেকে দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। সেই সময় এএসআইকে হাতের সামনে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও এক এএসআই খুনে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিহারে।