ছবি: পিটিআই।
লক্ষ্য বেতন দেওয়ার দায়বদ্ধতা কমিয়ে খরচ কমানো। তাই আড়ে-বহরে কর্মী ছাঁটাই করতে তৎপর হয়েছে রেল। জুলাই মাসেই সব ক’টি জোনকে ৫৫ কিংবা তার বেশি বয়সি কর্মীদের তালিকা তৈরিতে নির্দেশ দিয়েছিল রেল মন্ত্রক। সেই মতো সব ক’টি জোনের পক্ষ থেকে মন্ত্রকের কাছে পৌঁছেছে সেই তালিকা। সূত্রের মতে, সব মিলিয়ে এই সংখ্যা ১ লক্ষের কাছাকাছি। ২০২০ সালের মধ্যে তিন লক্ষ কর্মী কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে এটিই প্রথম ধাপ বলে মনে করছে রেল ইউনিয়নগুলি।
মন্ত্রকের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৫% কর্মী কমলে খরচ বাঁচবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে বেতন খাতে রেলের খরচ প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। পেনশন খাতে খরচ ছুঁয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা। তাই বেতন খাতে বরাদ্দ কমাতে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। অগস্ট মাসে যে সব কর্মীদের বয়স ৫৫ বছর কিংবা তারও বেশি, তাঁরা কে কত দিন কাজ করেছেন, বেতন পরিকাঠামো, সময়ে কাজে আসেন কি না, খরচ বাঁচিয়ে কাজ করেন কি না, পাঁচ বছরে অসুস্থতার জন্য কত দিন ছুটি নিয়েছেন, শৃঙ্খলাপরায়ণ কি না, ওই কর্মীর সততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কি না— সে সব খতিয়ে দেখে জোনগুলিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়।
গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জোনগুলির রিপোর্ট জমা পড়ে মন্ত্রকে। রেল সূত্রের মতে, প্রতিটি জোন থেকে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের কাছাকাছি নাম জমা পড়েছে। পশ্চিম রেলওয়ে থেকে ছ’হাজারের কাছাকাছি নাম এসেছে। দক্ষিণ রেলওয়ের সংখ্যাটিও ছ’য়ের কাছাকাছি। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার নাম জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি নাম এসেছে উত্তর রেলওয়ে থেকে। সাত হাজারের বেশি নাম রয়েছে তাদের তালিকায়। তবে মন্ত্রক সূত্রের দাবি, তালিকায় নাম থাকা মানেই কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে, তা নয়। আগে অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা হবে কর্মীদের কী ভাবে ভাল ‘প্যাকেজ’ দেওয়া যায়, তা নিয়ে। তার পরে ছাঁটাই। কর্মী ছাঁটাই ও বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২৬ অগস্ট থেকে ধর্নায় বসেছে পশ্চিম-মধ্য রেলওয়ের কর্মীরা। ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত হলে বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেনস ফেডারেশন।
যোজনা কমিশন থেকে বর্তমানের নীতি আয়োগ— সকলেরই পরামর্শ, লোকসান সামলাতে বেতন খাতে খরচ কমাতে হবে রেলকে। পরিচালন ব্যবস্থা যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ায় বাড়তি কর্মী ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করা হয়। রেলের বর্তমান কর্মী ১৩ লক্ষের কাছাকাছি। ২০২০ সালের মধ্যে তা কমিয়ে ১০ লক্ষে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy