(বাঁ দিক থেকে) যুগেন্দ্র পওয়ার, শরদ পওয়ার, অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে দিয়ে বারামতীতে বাজিমাত করেছিলেন তিনি। হারিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্রোহী ভাইপো অজিত পওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রাকে। শরদ পওয়ারের ‘সৌজন্যে’ বিধানসভা ভোটেও পারিবারিক গৃহযুদ্ধের সাক্ষী হচ্ছে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের ওই অঞ্চল।
বারামতী বিধানসভার সাত বারের বিধায়ক অজিতের বিরুদ্ধে শরদ এ বার প্রার্থী করেছেন তাঁর নাতি যুগেন্দ্র পওয়ারকে। যুগেন্দ্র আবার অজিতের ভাইপো। তাঁর বাবা শ্রীনিবাস হলেন অজিতের দাদা। রাজনীতিতে আনকোরা হলেও বস্টনের নর্থইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ডিগ্রিধারী যুগেন্দ্র এ বার কাকা অজিতকে কঠিন লড়াইয়ে ফেলতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। শরদের দলের হয়ে তাঁর আর এক নাতি রোহিত পওয়ারও এ বার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন অদূরের কারজ়াট-জামখেড় আসনে।
২০২৩ সালের ২ জুলাই এনসিপিতে পটপরিবর্তন মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে বদলে দিয়েছিল বেশ কয়েকটি সমীকরণ। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে এনডিএ-র অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হচ্ছিল। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ও আপাতত মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতের দখলে যায়। শরদের নতুন দলের নাম হয় এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার)। নির্বাচনী প্রতীক ‘তুতারি’ (পশ্চিমী বাদ্যযন্ত্র ট্রাম্পেটের মরাঠি সংস্করণ)।
কিন্তু নাম ও প্রতীক হারিয়েও লোকসভা ভোটে বাজিমাত করেছেন শরদ। জিতেছেন আটটি আসনে। অন্য দিকে, অজিতের দল জিতেছে মাত্র একটি আসনে। লোকসভা ভোটের পর অজিতের দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য প্রকাশ্যে বিজেপিকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছে আরএসএস। বিরোধী ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র অন্য দুই সহযোগী কংগ্রেস এবং উদ্ধবসেনা যখন শরদের দলকে ৮৫টি আসন ছেড়েছে তখন সহযোগী বিজেপি, শিন্ডেসেনার থেকে অজিতের প্রাপ্তি মাত্র ৫৫!
এই আবহে বিধানসভা ভোট কার্যত তাঁর অস্তিত্বের লড়াই বলেই মনে করছেন অনেকে। অজিত শনিবার অবশ্য জানিয়েছেন, জেতার বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘বারামতীর ভোটদাতাদের উপর আমার আস্থা রয়েছে। তাঁরাই আমাকে গত বিধানসভা ভোটে ১ লক্ষ ৬৫ হাজারের নজিরবিহীন ব্যবধানে জিতিয়েছিলেন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর আসন সমঝোতা নিয়ে এখনও শাসকজোটের অন্দরে মতভেদ রয়ে গিয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন অজিত বলেন, ‘‘১১টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।’’ আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। সে দিনই জানা যাবে বারামতীর ভবিষ্যৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy