সেই ছবি যা এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছেলে খবরের শিরোনামে আসতেই সামনে এল সিকি শতাব্দী আগে বাবার কীর্তিও!
ইনদওর পুর নিগমের এক আধিকারিককে পিটিয়ে আপাতত জেলে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিধায়ক-পুত্র আকাশ। কৈলাসও এক পুলিশ অফিসারকে জুতোপেটা করতে গিয়েছিলেন। ২৫ বছর আগের সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে (এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা)। যদিও এটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
জবরদখল উচ্ছেদ অভিযানে একটি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বুধবার আকাশের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন এক পুর আধিকারিক। আকাশের কৃতকর্মের সঙ্গে ২৫ বছর আগে কৈলাসের হামলার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সাদা-কালো ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কৈলাস জুতো হাতে এক ব্যক্তিকে মারতে উদ্যত। সূত্রের খবর, ছবিটি ১৯৯৪ সালের। কৈলাস সে সময় ইনদওর পুর নিগমের মেয়র। একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে বিবাদের জেরে মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি। তখনই জুতো খুলে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এএসপি প্রমোদ ফড়ণীকরকে মারতে যান তিনি। ছবিতে সাদা পোশাকের যে ব্যক্তিকে জুতো হাতে শাসাচ্ছেন কৈলাস, তিনিই ফড়ণীকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন নেট-নাগরিকেরা। এক
জন লিখেছেন, ‘‘জুতো এখন পাল্টে ব্যাট হয়েছে।’’
জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ায় আকাশ আপাতত ৭ জুলাই পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ইনদওর থেকে ভোপালের বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছে। পুর আধিকারিকের উপর আকাশের চড়াও হওয়ার ঘটনা নিয়ে মধ্যপ্রদেশ শাখার কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। প্রকাশ্যে না-হলেও বিজেপি নেতারা মনে নিচ্ছেন, আকাশের মারধরের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। পুর আধিকারিকের উপর আকাশের চড়াও হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ক্রিকেট ব্যাটটা দেশের জয় বোঝাতেই ব্যবহার করা উচিত। গণতন্ত্রের পরাজয়ে নয়।’’
কৈলাস এবং আকাশের অনুগামীরা অবশ্য গোটা ঘটনায় একেবারেই লজ্জিত বা দুঃখিত নন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় আকাশের ছবি-সহ বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। তাতে কৈলাস-পুত্রের ছবির নীচে লেখা রয়েছে, ‘স্যালুট, আকাশ’জি’। পুরকর্মীরা অবশ্য পরে হোর্ডিংগুলি সরিয়ে দেন। আকাশের হাতে নিগৃহীত পুর আধিকারিক আজ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy