সেন্ট্রাল ভিস্তার অ্যাভিনিউয়ের এই চত্বরেই থাকবে জামগাছগুলি। ছবি: এএনআই।
দিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের দু’পাশে থাকবে জাম গাছের সারি। পুরনো রাষ্ট্রপতি ভবন তৈরির সময় থেকেই রয়েছে এই জাম গাছগুলি।তবে এতদিন সেগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল সংসদ চত্বরের বিস্তীর্ণ সবুজালিতে দিল্লির রাজপথের দু’পাশে। নতুন পরিকল্পনায় সংসদ চত্বরের ৬৯টি জামগাছকে তুলে আনা হয়েছে তার আসল জায়গা থেকে। সেগুলি নতুন করে বসানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের দু’পাশে। একটি গাছও কাটা হয়নি। তার কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর কড়া নির্দেশ ছিল কোনও জামগাছ যেন কাটা না পড়ে।
সাদা চোখে এই নির্দেশের তাৎপর্য ধরা না পড়তে পারে। তবে জাম গাছের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে ভারতীয় পুরাণে। জামকে বলা হয় ‘ঈশ্বরের ফল’। স্বয়ং মেঘের দেবতা নিজে নাকি জাম হয়ে এসেছিলেন মর্ত্যে। জামের ঘন কালো বর্ষার মেঘের মতো রঙের আসল কারণ তিনিই। আবার রামায়ণ বলছে এই জাম খেয়েই দিনের পর দিন কাটিয়েছেন দাশরথী রাম। জাম রামের প্রিয় ফল।
পুরাণেই বলা আছে, রামের জাম-কাহিনী। অযোধ্যা ত্যাগ করার পর তিনি বছরের পর বছর জাম খেয়েই উদরপূর্তি করেছিলেন। রামের জন্য তৈরি যেকোনও মন্দিরেও তাই অন্তত একটি জামগাছ রাখা নিয়ম। সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ে অবশ্য এমন ৪৭টি গাছ থাকছে। বাকি ২২টির জায়গা হয়েছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অন্যান্য অংশে।
বৃহস্পতিবার এই সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি ভবনকে ইন্ডিয়া গেটের সঙ্গে জোড়া এই রাস্তারই এক পাশে পুরনো এবং নতুন সংসদ ভবন। তিন লক্ষ ৬০ হাজার ৮০৯ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত অ্যভিনিউয়ের প্রায় অর্ধেকটা জুড়ে রয়েছে নিলগিরির ঘাস। তিন হাজার বর্গমিটারের ফুলের বাগিচা আর ৪০০৮টি গাছ। যার মধ্যে থাকছে বিশেষ পুরনো গাছের চত্বরে থাকছে জাম আর পাইনের সারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy