ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি। বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে। ছবি: পিটিআই।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার উপকূল সংলগ্ন ১,৬৫৩টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকলকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘ডেনা’তে তাঁদের লক্ষ্য হল ‘শূন্য মৃত্যু’। এক জনেরও প্রাণহানি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় ওড়িশা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’ অতি প্রবল আকারে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফলের’ স্থান ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অংশ। রাতেই সেখানে ‘ল্যান্ডফলের’ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ঝড়ের প্রভাবে উপকূল এলাকায় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। সেই সঙ্গে উঁচু ঢেউ এবং জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ওড়িশায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মোহন নিজে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। তাঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পুজারী-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবনে সেই বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রথম এবং প্রধান অগ্রাধিকার হল সমুদ্রঘেঁষা এলাকা খালি করা। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ ভাবেই আমরা এই দুর্যোগে ‘শূন্য মৃত্যু’ নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের উদ্ধারকারী দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে একাধিক ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক মেডিক্যাল দল। দু’হাজারের বেশি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে উপকূল থেকে সরিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহন। ওড়িশার উপকূলে এই মুহূর্তে কাজ করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৯টি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫১টি দল। এ ছাড়াও রয়েছে দমকলের ২২০টি দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy