প্রতীকী ছবি।
জম্মু-কাশ্মীরে বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ৪০-৪৫ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আজ এক অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ‘‘বিশেষ মর্যাদা লোপ না করলে সন্ত্রাসকে পরাজিত করা সম্ভব ছিল না। পাকিস্তান উপত্যকার যুবকদের ভুল পথে চালিত করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। ভারতের অবস্থান পাক নীতির উপরে নির্ভরশীল। পাকিস্তান শান্তি চাইলে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করুক।’’ শাহের দাবি, কাশ্মীর থেকে বাড়তি বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৯০ সালে যত জন জওয়ান মোতায়েন ছিলেন এখন ঠিক তত জন জওয়ান উপত্যকায় রয়েছেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ‘‘অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ৪০-৪৫ শতাংশ কমেছে।’’
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন সংসদেও প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্র। উপত্যকায় পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ শ্রমিক-সহ ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দাদের হত্যা ও গত কালের গ্রেনেড হামলা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের কে সুরেশ। তিনি দাবি করেন, উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি করছে সরকার। এটা সংসদকে ভুল পথে চালিত করার সামিল। জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘৩০-৩৫ বছর ধরে কাশ্মীরে সন্ত্রাস চলছে। এখন জঙ্গি হামলার সংখ্যা প্রায় শূন্যে ঠেকেছে। সে জন্য সেনা, আধাসেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।’’ তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা।
সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে কাশ্মীরে বিপুল অঙ্কের বাণিজ্যিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সেখানকার ব্যবসায়ীদের। তাঁদের আরও দাবি, অনেকে রোজগার হারিয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যসভায় লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন সিপিএমের কে সোমপ্রসাদ। জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে জম্মু-কাশ্মীরে রোজগার বা কর্মসংস্থানের ক্ষতি নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট রিপোর্ট পায়নি কেন্দ্র। তবে ৩০-৩৫ বছর ধরে সন্ত্রাসের জন্য জম্মু-কাশ্মীরের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এখন সেখানকার বাসিন্দাদের রোজগারের সুযোগ বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy