ফাইল চিত্র।
দু’বছর আগে এই দিনেই দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। সেই আতঙ্কের উপশম হয়েছে বেশ কিছুটা। করোনা-বিধি পালনে গুরুত্ব দিলেও অতিমারি আইন আর বলবৎ রাখতে উৎসাহী নয় কেন্দ্র। এ দিকে, বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে বাড়তে থাকা দৈনিক সংক্রমণ চিন্তায় ফেলছে।
২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে কোভিড নির্দেশিকা জারি করে আসছে। বুধবার মন্ত্রকের জারি করা আদেশনামায় ১ এপ্রিল থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার একটি ইঙ্গিত রয়েছে। এ দিকে, বৃহস্পতিবারের সরকারি রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ কিছু বেড়েছে। এক দিনে মোট ১৯৩৮টি নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। কেরলে এক দিনে নতুন সংক্রমিত ৫৫৮ জন। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতেও দৈনিক সংক্রমণ শতাধিক।
জানুয়ারি থেকে বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশ কমছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) রিপোর্ট অনুযায়ী, আবার একটু একটু করে বাড়ছে গত সপ্তাহ থেকে। চিনে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। হু-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহে বিশ্বে সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় সাত শতাংশ। এর কারণ হিসাবে আরও-সংক্রামক ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এবং ইওরোপ, উত্তর আমেরিকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় করোনা-বিধি প্রত্যাহারের কথা উঠে আসছে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, দেশে সক্রিয় সংক্রমণ কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষ সেরে উঠেছেন। বর্তমানে সংক্রমিত ২২,৪২৭ জন। সেরে ওঠার জাতীয় হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৮২ কোটির বেশি ডোজ় টিকা দেওয়া হয়েছে। বিধি মেনে জীবন ও জীবিকার ছন্দ স্বাভাবিক করে তোলাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
দিল্লির ভারতী কলেজের বি কম পড়ুয়া হর্ষিকা লখিনা গত দু’বছর ধরে কোভিড স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করে আসছেন। গত বছর ডেল্টা সংক্রমণের সময় অক্সিজেনের খবরাখবর সরবরাহ করেছেন তিনি। হর্ষিকা জানান, সেই সময়ে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল, তালিকা দেখে আবার সবাইকে ফোন করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy