Advertisement
E-Paper

সাইট হ্যাকের দাবি, এনটিএ কি সোসাইটি

কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে সাংবাদিক পঙ্কজ পচৌরির একটি পোস্ট তুলে দিয়েছেন। ওই পোস্টে রয়েছে রেজিস্ট্রার অব সোসাইটিজ়ের দেওয়া একটি শংসাপত্র। তাতে সোসাইটিজ় রেজিস্ট্রেশন আইনে এনটিএ-কে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ০৭:৫০
Share
Save

এনটিএ-র ওয়েবসাইট কি হ্যাক হয়েছিল? আজ একটি চ্যানেলের দাবি, ১৮ জুন পর্যন্ত ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি তথা এনটিএ-র ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল। ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করা হয়েছিল এনটিএ-র তথ্য। সাইট হ্যাক করে অ্যাডমিট কার্ড এবং পরীক্ষার্থীদের তথ্য হাতানো হয়েছিল এবং এর প্রমাণ তাদের কাছে আছে বলেও চ্যানেলটির দাবি। এই প্রতিবেদনের লিঙ্ক পোস্ট করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের ইস্তফা দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তবে গত রবিবারই এনটিএ জানিয়েছিল, তাদের ওয়েবসাইট এবং সমস্ত পোর্টাল সুরক্ষিত আছে।

কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে সাংবাদিক পঙ্কজ পচৌরির একটি পোস্ট তুলে দিয়েছেন। ওই পোস্টে রয়েছে রেজিস্ট্রার অব সোসাইটিজ়ের দেওয়া একটি শংসাপত্র। তাতে সোসাইটিজ় রেজিস্ট্রেশন আইনে এনটিএ-কে নথিভুক্ত করা হয়েছে। শংসাপত্রটির সত্যতা যাচাই করা না গেলেও প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নেওয়া এনটিএ কী ভাবে বেসরকারি সোসাইটি বা সংস্থা হতে পারে? ওই সাংবাদিকের মতে, এর ফলে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় এনটিএ-কে আনা বা তাদের দায়বদ্ধ করা অসম্ভব। সরকারের পক্ষেও দায় ঝেড়ে ফেলা সহজ।

প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তে আজ ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি সূত্র মিলেছিল মহারাষ্ট্রেও। তদন্তকারীদের সন্দেহ, মহারাষ্ট্রে নিটের প্রশ্ন ফাঁসের পাণ্ডা ছিলেন একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ইরান্না কোঙ্গলওয়ার। গত শনিবার থেকে সপরিবার তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। লাতুরের একটি হাউসিং সোসাইটিতে ইরান্নার বাড়িতে গিয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। সোসাইটির ১৯ নম্বর বাড়িটি কোঙ্গলওয়ার পরিবারের। গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির জানলাগুলো আধখোলা। ভিতরে দিনেদুপুরেও আলো জ্বলছে। চলছে পাখা। দুটো স্কুটার আর একটা সাইকেল বাইরে পড়ে। কিন্তু লোকজনের চিহ্ন নেই। যেন খুব তাড়াহুড়ো করে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে কেউ।

এক প্রতিবেশী জানান, ইরান্নার পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন এক ছেলে আর দুই মেয়ে। এক মেয়ে তিন বার নিটে বসেছিলেন। তিন বারই অকৃতকার্য হন। ইরান্না নান্দেড়ের একটি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইরান্না ছাড়াও সঞ্জয় তুকারাম যাদব এবং জলিল উমরখান নামে কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তে। পুলিশ সূ্ত্রের দাবি, গঙ্গাধর নামে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের এক দিল্লিবাসী পাণ্ডার কাছে টাকা পাঠাতেন ইরান্না। মাধ্যম ছিলেন সঞ্জয় ও জলিল। গঙ্গাধর সেই টাকা পাঠাতেন দেরাদুনে। আপাতত গঙ্গাধরও বেপাত্তা। সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dharmendra Pradhan National Testing Agency

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}