রাজকোটের গেমিং জ়োনে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: রয়টর্স।
রাজকোটের গেমিং জ়োনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুজরাত হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল সে রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকার। সোমবার একটি মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, তারা গুজরাত সরকারকে আর ‘বিশ্বাস’ করতে পারছে না। পাশাপাশি, রাজকোটের পুরসভাকে ভর্ৎসনা করে আদালত।
গত শনিবার আগুনে পুড়ে যায় রাজকোটের ওই গেমিং জ়োন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। তাঁদের মধ্যে ন’টিও শিশুও ছিল। আহত আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় গেমিং জ়োনের মালিক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ওই গেমিং জ়োনের কোনও ‘ফায়ার লাইসেন্স’ ছিল না। এমনকি, দমকলের ছাড়পত্রও ছিল না তাদের কাছে। তার পরও কী ভাবে ওই গেমিং জ়োন চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার আদালতেও এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় পুরসভাকে।
হাই কোর্টে পুরসভার পক্ষে জানানো হয়, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই ওই গেমিং জ়োন চলছিল। যা শুনে ক্ষোভপ্রকাশ করে আদালত বলে, ‘‘তা হলে আড়াই বছর ধরে কী ভাবে চলছিল? আমরা কি ধরে নিচ্ছি যে আপনারা চোখ বন্ধ করে ছিলেন?’’ রাজকোটের পুলিশ কমিশনার রাজু ভার্গব জানিয়েছেন, গত বছরের নভেম্বরে স্থানীয় পুলিশও ওই গেমিং জ়োনের মালিককে একটি লাইসেন্স দিয়েছিল। যার মেয়াদ ছিল চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত।
শুধু পুরসভা নয় গুজরাত সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত। শুনানি চলাকালীন আদাল সরকারকে প্রশ্ন করে, ‘‘আপনারা কি অন্ধ হয়ে গিয়েছেন? নাকি ঘুমিয়ে ছিলেন? এখন আর আমরা স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করি না।’’ উল্লেখ্য, আমদাবাদের এমনই দু’টি গেমিং জ়োন নিয়ে মামলা চলছিল হাই কোর্টে।
রাজ্য সরকার আদালতে স্বীকার করে আমদাবাদের ওই গেমিং জ়োনগুলির প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নেই। ছাড়পত্র ছাড়া কখনই এমন গেমিং জ়োন খোলা যায় না। যা শুনে রেগে যায় আদালত। প্রশ্ন করে, ‘‘তবে রাজকোটে সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি কে?’’ রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছে, ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দোষীদেরও খুঁজে বার করা হবে।
রাজকোটের গেমিং জ়োনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শীর্ষ আইপিএস আধিকারিক সুবাস ত্রিবেদীর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তদন্তভার গ্রহণ করেছে। রাজকোটের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) বিনায়ক পটেল জানিয়েছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের দেহগুলি এমন ভাবে ঝলসে গিয়েছে যে, শনাক্ত করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। মৃতদের পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy