Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
WHO

Novavax: হু-র ছাড়পত্র চেয়ে আর্জি নোভাভ্যাক্সের

নোভাভ্যাক্সের এই প্রোটিন-ভিত্তিক প্রতিষেধকটির জেনেরিক নাম এনভিএক্স-কোভ২৩৭৩। ইতিমধ্যেই এই প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৭:২৫
Share: Save:

জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র চেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর কাছে তাদের তৈরি কোভিড প্রতিষেধকের তথ্য জমা দিল ওষুধ নির্মাতা সংস্থা নোভাভ্যাক্স। এই আমেরিকান সংস্থাটির সঙ্গে জোট বেঁধে কোভোভ্যাক্স প্রতিষেধক তৈরি করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। কোভিশিল্ডের পরে কোভোভ্যাক্সও হু-র ছাড়পত্র পেলে সিরামের কাছে তা বড় সাফল্য বলেই বিবেচিত হবে।

নোভাভ্যাক্সের এই প্রোটিন-ভিত্তিক প্রতিষেধকটির জেনেরিক নাম এনভিএক্স-কোভ২৩৭৩। ইতিমধ্যেই এই প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এর পরেই প্রতিষেধকটির যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য হু-র কাছে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে নোভাভ্যাক্স। এক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির চিফ এগ্‌জিকিউটিভ স্ট্যানলি এর্ক বলেছেন, ‘‘এই প্রতিষেধকটির পাওয়া প্রথম ছাড়পত্রের ফলে ইন্দোনেশিয়ার চাহিদা মিটবে। জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে থাকা এই দেশ এখন নিজের জন্য প্রতিষেধক জোগাড় করছে।’’ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারত এবং ফিলিপিন্সের সবুজ সঙ্কেতও মিলবে বলে আশা করছে নোভাভ্যাক্স। চলতি বছরের শেষের দিকে আমেরিকান কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্রও এসে গেলে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘কোভ্যাক্স’ প্রকল্পে প্রতিষেধক পাঠাতে পারবে নোভাভ্যাক্স।

বস্তুত, বিশ্ব জুড়ে প্রতিষেধক সরবরাহ করতে নোভাভ্যাক্স যে তৈরি, এর্ক তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জানান, সিরাম ইতিমধ্যেই ওই প্রতিষেধকের কয়েক লক্ষ ডোজ় তৈরি করে ফেলেছে, যা রফতানির জন্য প্রস্তুত। এর পাশাপাশি নোভাভ্যাক্সের দু’টি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, উচ্চ ও নিম্ন আয়ের বিভিন্ন দেশকে বুস্টার ডোজ় সরবরাহ করা। দ্বিতীয়ত, আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে শিশুদের জন্য তৈরি প্রতিষেধকের মান্যতা আদায় করা। এর্ক বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি, বুস্টারের প্রয়োজন আগামী কয়েক বছর থাকবে। কয়েক মাসের মধ্যে আমরা বুস্টার ডোজ়ও সরবরাহ করতে পারব।’’

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নতুন সংক্রমণ ১২,৭২৯টি, মৃত্যু ২২১টি। তবে আশার খবর হল, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা মোট সংক্রমণের ০.৪৩ শতাংশে নেমেছে। ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে এই হার সর্বনিম্ন। তেমনই সুস্থতার হার গত বছরের মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চে পৌঁছে হয়েছে ৯৮.২৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কেরলে বেশ কিছু রোগী দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকাকরণ সত্ত্বেও সংক্রমিত হয়েছেন। তবে এঁদের খুব সামান্য অংশেরই অক্সিজেন বা আইসিইউয়ের প্রয়োজন হয়েছে। প্রতিষেধকই সংক্রমণের তীব্রতা কমিয়ে দিয়েছে বলে চিকিৎসকদের ধারণা। পুণেতে এখনও প্রায় ৯ লক্ষ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকাকরণ বাকি। আজ গুজরাতি নববর্ষে বডোদরার স্বামীনারায়ণ মন্দিরে কোভিড আচরণবিধি মেনেই পুজো দিয়েছেন বহু ভক্ত।

অন্য বিষয়গুলি:

WHO Novavax COVID-19 COVID-19 Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy