কিরেন রিজিজু। ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সূচ্যগ্র মেদিনীও চিনকে দেওয়া হয়নি। আজ লোকসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে পাশে নিয়ে এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
তাঁর এই মন্তব্যের পরে কিছুটা আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। গত দু’বছর হতে চলল ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন পূর্ব লাদাখে সেনা অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে চিন। ২০২০-র এপ্রিলের আগে প্যাংগং লেক সংলগ্ন সীমান্তে ভারতের টহলদারির অধিকার যতটা ছিল এখন তার থেকে যে সরতে হয়েছে, তা সেনার বক্তব্যেই স্পষ্ট। ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত ভারতীয় সেনা চিনা আগ্রাসনের আগে টহল দিত। চিনের আগ্রাসনের পরে এই অংশটি হয়ে গিয়েছে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’। ভারতের টহলদারি না থাকার সুযোগ নিয়ে চিন ফের সেনা অনুপ্রবেশ যে ঘটাবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই সাউথ ব্লকের কাছে। এমতাবস্থায় রিজিজুর এই দাবি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির।
আজ সকালেই চিনের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী তাঁর সংসদীয় দলের বৈঠকের বক্তৃতায় বলেছেন, “বহু বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও আমরা সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য সরকারকে রাজি করাতে পারিনি। আলোচনা করা হলে সামগ্রিক ভাবে আমাদের সংকল্প গভীর হত।” আজ দুপুরে লোকসভায় আলোচনা শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ভারতের ভূমিকা নিয়ে। কিন্ত বিএসপি-র জৌনপুরের সাংসদ শ্যাম সিংহ যাদব পূর্ব লাদাখে চিনের অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করেন। শ্যামের অভিযোগ, “ভারতের ভূখণ্ড একটু একটু করে চিন নিয়ে নিচ্ছে।”
রিজিজুর কথায়, “সবাই জানেন যে আমাদের দাবি করা ভূখণ্ড চিন এবং পাকিস্তানের দখলে রয়েছে বহু যুগ আগেই। আমি এ ব্যাপারে কারও নাম করতে চাই না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হয়নি।” এখানেই না থেমে রিজিজুর বক্তব্য, “আমাদের সীমান্ত একশো শতাংশ নিরাপদ। আমি নিজে এসেছি অরুণাচল প্রদেশ থেকে। একটি টিভি চ্যানেল অন্যায় ভাবে বিদেশি ওয়েবসাইটের কোনও ছবি নিয়ে প্রচার করে চিন অরুণাচলে নাকি গ্রাম বানিয়ে নিয়েছে। এই তথ্য ভুল। চিন যা দখল করেছে তা ১৯৫৯ সালে করেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, “এ ভাবে দেশের মানুষকে বোকা বানানো ঠিক নয়। ২০১৩ সালে এ কে অ্যান্টনি যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি সংসদে স্বীকার করেছিলেন, সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরি না করে ভুল হয়েছে। মোদী সরকার এই নীতির পরিবর্তন করে। আমাদের সীমান্ত এখন নিরাপদ। আমার রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ ১০০ শতাংশ নিরাপদ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy