শীতের অকালবর্ষণে জল থইথই রাস্তা। রবিবার গুরুগ্রামে। পিটিআই
দু’দিন ধরে বৃষ্টির শাসনে রাজধানী। আজ সকালেও এক দফা বৃষ্টি হয়েছে। জল জমেছে জায়গায় জায়গায়। পারদ নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের কামড় অনেক বেশি তীব্র মনে হয়েছে দিনভর। এর মধ্যেই দুর্যোগের শাসন না-মানা কৃষকদের খালি গায়ে প্রতিবাদ নজর কেড়েছে সকলের।
কয়েক দিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে গোটা উত্তর ভারত। কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশে চলছে তুষারপাত, ঝোড়ো বৃষ্টি। হিমাচলপ্রদেশে জারি হয়েছে ‘হলুদ’ ও ‘কমলা’ সতর্কতা। তবে এই বৃষ্টিই সাময়িক স্বস্তি এনেছে পঞ্জাব-হরিয়ানায়!
শীতকালে বৃষ্টি নামলে এক দফা ঠান্ডা বাড়ে, এমনটাই অভিজ্ঞতা বঙ্গে। কারণ, বৃষ্টিতে আকাশ পরিষ্কার হলে রাতে মাটি থেকে তাপ বিকিরণ হয়। পারদ নেমে আসে সূর্যোদয়ের আগে। কিন্তু দু’দিন ধরে বৃষ্টি হলেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানায়। কারণ মেঘে ঢাকা আকাশ মাটি থেকে তাপ বেরিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে। ফলে দুই রাজ্যেই রবিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খানিকটা উঠেছে। চণ্ডীগড়ে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৬ ডিগ্রি উপরে।
পঞ্জাবের অমৃতসর, লুধিয়ানা ও পটিয়ালায় পারদ নেমেছিল যথাক্রমে ১১.৩, ১১.১ ও ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হরিয়ানায় অম্বালা, হিসার ও কার্নালে পারদ নেমেছিল যথাক্রমে ৯.৪, ৭.২ ও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নার্নাউলে ছিল ৯.৫, রোহতকে ৯.৪, ভিওয়ানিতে ৫.৯ ও সিরসায় ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সব এলাকার ক্ষেত্রে যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি।
পঞ্জাব-হরিয়ানার সঙ্গে রাজস্থানেও চলছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় ০.২ থেকে ৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়ার গতি কম থাকায় কুয়াশার চাদর স্থির ছিল হিসার, রোহতক, ভিওয়ানি ও লুধিয়ানায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। সেই বৃষ্টির পরে আকাশ পরিষ্কার হলে শীতের কামড় বাড়ার আশঙ্কা। হিমাচলপ্রদেশের উঁচু এলাকাগুলিতে আজ নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। শিমলা জেলার কিছু এলাকা এখন ২ ফুট বরফের নীচে। বন্ধ ডোডরা-কাওয়ার রোড। মানালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও ৩ থেকে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। লাহুল-স্পিটি আজ ও গত কয়েক দিন ধরেই মাইনাস ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রাজ্য জুড়ে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ে বুধবার পর্যন্ত তুষারপাত চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিমলার আবহাওয়া দফতর। উপত্যকাগুলিতে বজ্রপাত ও ঝড়-বৃষ্টি চলবে। সমতল ও পাহাড়ে অল্প উচ্চতার এলাকায় ‘হলুদ (তুলনায় কম বিপজ্জনক)’ এবং উঁচু পাহাড়ি এলাকায় ‘কমলা (তুলনায় বেশি বিপদের)’ হুঁশিয়ারি জারি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম ভাগেও চলছে ঝড়বৃষ্টি-বজ্রপাত। পূর্ব অংশেও হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। উত্তরপ্রদেশে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিল বান্দায়, ৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy