Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Assam

North East flood: ব্রহ্মপুত্র গিলে খেয়েছে কাজিরাঙার ১৫ ভাগ, বন্যায় ভাসছে অসম, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের ১৫ ভাগ গিলে নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘ-সহ অন্তত পাঁচটি বন্য জন্তুর। ব্রহ্মপুত্রের জল ঢুকছে গুয়াহাটিতেও।

জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে কংক্রিটের সেতু।

জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে কংক্রিটের সেতু। ছবি— পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ ২৩:০৬
Share: Save:

ভয়াবহ বন্যায় তছনছ হতে বসেছে উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য অসম ও মেঘালয়। ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র। অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড় ধসে বিপর্যস্ত জনজীবন। দুই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬২ জনের। ১০ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে শুধু অসমেই অন্তত ৩২ লক্ষ মানুষ প্রভাবিত হচ্ছেন।

ঘর ছেড়ে ত্রাণশিবিরের পথে।

ঘর ছেড়ে ত্রাণশিবিরের পথে। ছবি— পিটিআই।

অসম ও মেঘালয়ে বৃষ্টি থামার নাম নেই। আগামী দু’দিন আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। দু’কূল ছাপিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র। কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের অন্তত ১৫ ভাগ ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে ব্রহ্মপুত্র। মৃত্যু হয়েছে একটি চিতাবাঘ-সহ পাঁচটি বন্য জন্তুর। ব্রহ্মপুত্রের জল ঢুকতে শুরু করেছে গুয়াহাটিতেও।

সরকারি সূত্রের খবর, বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে বন্যা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে অসমের ৪২ লক্ষ মানুষের জীবনে। অসমের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩৩টি জেলাতেই বন্যা পরিস্থিতি। অন্তত পাঁচ হাজার গ্রাম সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে। রাজ্যের ৭৪৪টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

একই অবস্থায় মেঘালয়েও। ধস নেমে দুটি জাতীয় সড়কই সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ। বৃষ্টির তেজ না কমলে সড়ক সাফ করা কার্যত অসম্ভব। তার উপর আছে আবারও ধস নামার আশঙ্কা। আগামী দু’দিন বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ত্রিপুরাতেও বন্যায় ১০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বন্যায় ভাসছে পুরো উত্তর-পূর্ব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Assam meghalaya Tripura flood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE