ইস্তফার হিড়িক অব্যাহত। কিন্তু এখনও জাতীয় স্তরের কোনও বড় নেতা ইস্তফা দেননি। এরই মধ্যে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাহুল গাঁধী। দলেরই একাংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীরা যেন ইস্তফা নিয়ে রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে যান।
রাহুল গাঁধী যাতে দলকে নিজের মতো ঢেলে সাজাতে পারেন সে জন্য শ’দুয়েকের বেশি নেতা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই নবীন নেতা। তাঁদের হুমকি, প্রবীণেরাও ইস্তফা না দিলে মঙ্গলবার থেকে বাড়ি গিয়ে তা আদায় করবেন। এই অবস্থায় আগামিকাল কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে রাহুলের বৈঠক হওয়ার কথা। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রতাপ সিংহ বাজওয়া দাবি করেছেন, ইস্তফা নিয়েই যেন রাহুলের কাছে যান মুখ্যমন্ত্রীরা। বাজওয়া কালই দলের বিদেশ বিভাগের সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা অবশ্য আজ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যে নবীন নেতারা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরাও নবীন মুখের প্রথম সারির নেতা নন। আঙুল শুধু প্রবীণদের বিরুদ্ধেই বা উঠছে কেন? জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলট, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, মিলিন্দ দেওরা, সন্দীপ দীক্ষিত, অজয় মাকেন, সুস্মিতা দেব, মণীশ তিওয়ারি, দীপেন্দ্র হুডা, রাজীব সাতবের মতো নবীন নেতারাও তো এখনও ইস্তফা দেননি!’’
এর মধ্যেই কাল নিজের বাড়িতে সুশীলকুমার শিন্ডের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন রাহুল। তার পরেই দিল্লিতে গুঞ্জন শুরু হয়, এই ‘প্রবীণ’ নেতাকেই কি তবে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দেখতে চান তিনি? কংগ্রেস সূত্রের খবর, সভাপতি পদে গুলাম নবি আজ়াদ, মল্লিকার্জুন খড়্গে, অশোক গহলৌতের মতো অনেক নেতার নাম নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন রাহুল ও সনিয়া গাঁধী। কিন্তু মহারাষ্ট্রের নেতা শিন্ডের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধে হল, তিনি শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলে কংগ্রেস-এনসিপি সংযুক্তির কাজ এগোতে পারবেন বলে বিশ্বাস কংগ্রেস নেতৃত্বের। পওয়ার এখনও সংযুক্তিতে রাজি হননি। কিন্তু সম্প্রতি সংসদ ভবনে পওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে রাহুলের। এই সংযুক্তি হলে লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে পারে কংগ্রেস। পওয়ারও রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা হতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy