ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অনিল দেশমুখ ও মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ উচ্চপদে ছিলেন। বিতর্কের আগে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করছিলেন। তাই দেশমুখের বিরুদ্ধে পরমবীরের অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছ থেকে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হন মুম্বই পুলিশের অফিসার সচিন ওয়াজ়ে। ওই তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে পরমবীরকে সরায় মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা সরকার। তার পরেই দেশমুখের বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগ আনেন পরমবীর। পরে ওয়াজ়েও এক চিঠিতে দাবি করেন, দেশমুখ তাঁকে চাকরিতে রাখার জন্য ২ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। অন্য দিকে শিবসেনার মন্ত্রী অনিল পরব কয়েক জন ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ের আইনজীবী জয়শ্রী পাটিলের আর্জির ভিত্তিতে দেশমুখের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকেই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন দেশমুখ ও মহারাষ্ট্র সরকার। দেশমুখের আইনজীবী কপিল সিব্বল আজ সওয়ালে বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বাইরের সংস্থাকে ডেকে আনবেন না।’’ কিন্তু বিচারপতিরা বলেন, ‘‘অভিযোগ গুরুতর। জড়িত দুই ব্যক্তি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনার। এটা কি সিবিআই তদন্তের পক্ষে উপযুক্ত বিষয় নয়?’’ সেই সঙ্গে বিচারপতি এস কে কউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমেই ইস্তফা দেননি। তদন্তের নির্দেশের পরে দিয়েছেন। বোঝা যাচ্ছে তিনি পদ আঁকড়ে থাকতে চেয়েছেন।’’
টানটান উত্তেজনার মধ্যে আজকের শুনানিতে পরিবেশ একটু হাল্কাও হয় যান্ত্রিক ত্রুটিতে। ভিডিয়ো কনফারেন্সিং ব্যবস্থার মাধ্যমে হাজিরা দিচ্ছিলেন সিব্বল। নিজের যুক্তির পক্ষে রায় পড়ে শোনানোর সময়ে যান্ত্রিক গোলমালে পর্দা থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। বিচারপতি এস কে কউল বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে সিব্বল চলে গিয়েছেন।’’ আর এক আইনজীবী হরিশ সালভে হাল্কা সুরে বলেন, ‘‘ওঁর সওয়াল শুনে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং ব্যবস্থাও খারাপ হয়ে গেল।’’ দেশমুখ কাণ্ডে সচিন ওয়াজ়েকেও জেরা করার জন্য নিম্ন আদালতের অনুমোদন পেয়েছে সিবিআই।
অম্বানীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনও জড়িত ছিলেন বলে আজ আদালতে জানিয়েছে এনআইএ। ওই গাড়িটি যাঁর কাছে ছিল সেই ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনের দেহ পরে ঠাণের একটি খাঁড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। আজ নিম্ন আদালতে সচিন ওয়াজ়ের হেফাজত চেয়ে সওয়ালের সময়ে এনআইএ-র আইনজীবী জানান, হিরেনও ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে খুন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy