গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাবদ বাংলাদেশের থেকে ৭,২০০ কোটি টাকা পায় আদানি সংস্থা। সেই দাম না মেটালে অন্ধকারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ।
২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে ভারতের আদানির সংস্থা। সে দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারাই। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদ (বিপিডিপি)-কে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল তারা। জানিয়েছিল, ওই সময়ের মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে। সেই সঙ্গে ১,৫০০ কোটির ‘লেটার অফ ক্রেডিট’-ও দিয়েছিল। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’ একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সেই টাকা কৃষি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ‘লেটার অফ ক্রেডিট’ দিয়ে মেটানোর কথা থাকলেও তা করেনি বাংলাদেশ। দেশে আমেরিকান ডলারের অভাবকেই তারা দায়ী করেছে বলে সূত্রের খবর। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর ফলে ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুতের জোগান কমিয়েছে ‘আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড’।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিবি)-র ওয়েবসাইটে শুক্রবার প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে প্রতিদিন ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর তরফে। যেখানে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন তাদের ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা ছিল।
‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’ একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে দিনের অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। সময় মতো বিদ্যুতের দাম মেটানো হচ্ছে না বলে সে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি জ্বালানি ক্রয় কমিয়ে দিয়েছে। গণ অভ্যুত্থানের সময় দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সে কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল কলকারখানা। সূত্রের খবর, তার জেরে বাংলাদেশের রাজস্বে টান পড়েছে বলে একাংশের মত। এ দিকে বকেয়া বৃদ্ধি পেয়েছে আদানি সংস্থার কাছে। তার জেরেই এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy