(বাঁ দিক থেকে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? ফলঘোষণার চার দিন পরেও তিন জনের নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, এই নিয়ে এখনও চিন্তাভাবনা চলছে দলের অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রীদের নাম নির্ধারণ করতে শুক্রবার তাই তিন রাজ্যে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চলেছেন বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী কে হতে পারেন, না জানিয়েই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছে বিজেপি। তেলঙ্গানা, মিজ়োরাম বাদে বাকি তিনটিতেই জিতেছে। এ বার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের পালা। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের অন্দরে প্রত্যেক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য একাধিক জনের নাম উঠে এসেছে। আর তাতেই তৈরি হয়েছে ধন্দ। সেই ধন্দ কাটাতেই নিয়োগ করা হচ্ছে পর্যবেক্ষক। তাঁরা তিন রাজ্যে সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁরা কাকে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে, তা জানার চেষ্টা করবেন। সেই মতো রিপোর্ট দেবেন শীর্ষ নেতৃত্বকে।
বিজেপির একটা বড় অংশ মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এবং বিজেপির নীতির কারণেই তিন রাজ্যে ব্যাপক মার্জিনে জয় পেয়েছে বিজেপি। এ বার সে সব বিষয় মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের কাজ শুরু করতে চাইছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে ২৩০টি আসনের মধ্যে ১৬৩টিতে জিতেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার শিবরাজ সিংহ চৌহান। রাজ্যের মোট আসনে দুই-তৃতীয়াংশতে জয়ের নেপথ্যে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল, জ্যোতিরাদিত্য শিণ্ডে, নরেন্দ্র সিংহ তোমরের নামও উঠে আসছে। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ নাকি কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছেন গোবলয়ের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তা অনেকটাই নির্ভর করবে পর্যবেক্ষকের উপর।
ছত্তীসগঢ়ে ৯০টি আসনের মধ্য ৫৪টিতে জিতেছে বিজেপি। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি অরুণকুমার সাও, বিরোধী নেতা ধর্মলাল কৌশিক, প্রাক্তন আইএএস অফিসার ওপি চৌধরি। রমন সিংহ বাদে বাকি তিন জনই অনগ্রসর শ্রেণির। ২০০ আসনে রাজস্থানে ১১৫টিতে জিতেছে বিজেপি। সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ঘোরাফেরা করছে বেশ কয়েক জনের নাম। তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে শিণ্ডে। সোমবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন ২৫ জন সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক। মনে করা হচ্ছে, এ ভাবে আসলে বসুন্ধরা নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন। বিধায়কদের একাংশ জানিয়েছেন, বসুন্ধরার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে দল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করলে তাঁরা পাশে রয়েছেন। যদিও দলের অন্য একটি অংশ মনে করছে, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের ‘সুনজরে’ না থাকায় তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কঠিন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভেসে উঠেছে সাংসদ দিয়া কুমারী, সাংসদ মহন্ত বালকনাথ, রাজ্যবর্ধন রাঠৌর নামও। এ ছাড়া বিজেপির প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি, ওপি মাথুর ও সতীশ পুনিয়ার নাম রয়েছে জল্পনার তালিকায়। তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণব, অর্জুনরাম মেঘওয়ালের পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নাম ঘিরেও চলছে জল্পনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy