(বাঁ দিক থেকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদব। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চম বার! এই নিয়ে পঞ্চম বার ‘ডিগবাজি’ খেলেন নীতীশ কুমার। বছরখানেক আগেই ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। সেই সরকার ভেঙে আবারও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই নিয়ে নবম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন জেডিইউ প্রধান। তা নিয়ে রবিবার গোটা দিন জুড়ে তোলাপাড় হল জাতীয় রাজনীতি। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গত্যাগ করে নীতীশ ফের নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরায় বিহার তো বটেই, জাতীয় স্তরেও রাজনীতির অঙ্ক কষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন সমীকরণে কার লাভ হল, আর কার ক্ষতি, তা-ই এখন আলোচ্য হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
২০২২ সালে লালু প্রসাদের দল আরজেডি, কংগ্রেস ও অন্যান্য কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারে সরকার গঠনের পর নীতীশ বলেছিলেন, আমৃত্যু তিনি বিজেপির সঙ্গে যাবেন না! পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঘোষণা করেছিলেন, নীতীশের জন্য বিজেপির দরজা চিরতরে বন্ধ। না নীতীশ কথা রাখলেন। না শাহ! এত বার ডিগবাজি খাওয়ায় নীতীশের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে যেখানে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে মোদী-শাহ তাঁকে জোটসঙ্গী করে কোনও ঝুঁকি নিলেন না তো? এখন এই প্রশ্নই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিজেপির অবশ্য দাবি, সব দিক চিন্তাভাবনা করেই নীতীশের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের মানুষ বিজেপি-জেডিইউ জোট সরকারের পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন। নীতীশই সেই জোট সরকার ভেঙেছিলেন। ফলে সেখানে তাদের কিছু করণীয় ছিল না। এখনও নীতীশই আবার তাদের সঙ্গে সরকার গড়তে রাজি হয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে দল কেন সেই সুযোগ ছাড়বে! লোকসভা ভোটে ৪০০ আসন জেতার লক্ষ্য নিয়েছেন মোদী-শাহেরা। তার জন্য বিহারে ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪০টি আসনেই জেতা দরকার। সরকারে থাকলে তাতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। অন্য দিকে, নীতীশের দলের নেতাদেরও বক্তব্য, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের যা অবস্থা, তাতে কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য বিজেপির ক্ষমতায় আসা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ, মোদীর পালে হাওয়া এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। এনডিএ জোটে থেকে আসন্ন লোকসভা ভোটে লড়লে তার সুফল জেডিইউ-ও পাবে। বেশ কয়েকটি আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারবেন তাঁরা।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, গত ১০ বছরে পাঁচ বার ‘সঙ্গী’ বদলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে থাকলেও, নীতীশের ভাবমূর্তি আর আগের মতো নেই। ‘সুশাসনবাবু’ থেকে এখন তিনি ‘পাল্টুরাম’-এ পর্যবসিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক কয়েকটি নির্বাচনেও তাঁর দলের ফল খারাপ থেকে খারাপতর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকলেও সরকারের উপর বিজেপির ‘নিয়ন্ত্রণ’ বেশি থাকবে। তা নিশ্চিত করতেই বরাবর ‘নীতীশ-বিরোধী’ বলে পরিচিত সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিন্হাকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছেছে দল। ফলে নীতীশ যদি একক সিদ্ধান্ত কোনও সরকারি পদক্ষেপ করতে চান, তা খুব সহজ হবে না বলেই দাবি বিজেপি সূত্রের।
তা ছাড়া, নীতীশের বারবার ডিগবাজিতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিজেপির কিছু হবে না বলেই দলের অনেকের মত। তাঁদের বক্তব্য, বিধায়ক ‘কিনে’ মধ্যপ্রদেশ বা মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙার যে অভিযোগ উঠেছিল এবং তার পর যে ভাবে বিজেপিকে ‘ভিলেন’ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন বিরোধীরা, তা বিহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। উল্টে, বিজেপি তাদের সেই পুরনো ‘জঙ্গল রাজ’-এর ভাষ্যে ফিরে যেতে পারবে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অজয় অলোকও ইতিমধ্যে বলেছেন, ‘‘আমরা বিহারকে জঙ্গল রাজের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না।’’ উল্লেখ্য, ভোটের প্রচারে বরাবর লালুর আরজেডির বিরুদ্ধে বিহারে ‘জঙ্গল রাজ’ চালানোর অভিযোগ তুলে এসেছে বিজেপি।
বিজেপির একাংশ এ-ও বলছেন, নীতীশ বিরোধী জোটের অন্যতম বড় মুখ ছিলেন। মূলত তাঁর একার উদ্যোগেই বিজেপি-বিরোধী নেতারা একত্র হয়েছিলেন। প্রথম বৈঠকও পটনাতেই হয়েছিল। যদিও তখন জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ হয়নি। যাঁর উদ্যোগে বিরোধী জোটের বীজ বপন হয়েছিল, তিনি বেরিয়ে এসে মোদীর সঙ্গে হাত মেলানোয় ভোটের আগেই সেই জোটকে বড় ধাক্কা দেওয়া গেল। বিরোধী জোট যে কতটা ‘অস্থায়ী’, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল! নীতীশ ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরেই তাঁর দলের নেতা কেসি ত্যাগী সরাসরি কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, আঞ্চলিক দলগুলিকে ‘শেষ’ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছিলেন রাহুল গান্ধীরা। সেই কারণেই বিরোধী জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন নীতীশ। তাঁর আরও দাবি, ‘‘কংগ্রেস এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছিল যে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম বলিয়ে নেয় তারা। আর সেই কাজ কংগ্রেস করিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে।’’ নীতীশও বলেছেন, ‘‘আমি একটা জোট তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দেখলাম, কেউই কিছু করছে না।’’
যদিও ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের দাবি, নীতীশের ডিগবাজিতে জোটের কোনও ক্ষতি হবে না। বিরোধী জোটের শরিক ডিএমকে দাবি করেছে, নীতীশ এনডিএ-তে গেলে বিজেপিরই ক্ষতি হবে। লাভ হবে ‘ইন্ডিয়া’র। দলের মুখপাত্র কে কনস্ট্যান্ডিন রবীন্দ্রন বলেছেন, ‘‘মানুষ এই বিশ্বাসযোগ্যতাকে কখনওই মেনে নেবে না। নীতীশ কুমার প্রবীণ নেতা হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পূর্ণ হারিয়েছেন। তাঁর কোনও সততা নেই।’’ গত কয়েক দিন ধরে নীতীশের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে জল্পনার আবহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, নীতীশ বিরোধী জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলে কোনও ক্ষতিই হবে না। তেমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। ঘটনাচক্রে, বিরোধী জোটে মমতার সঙ্গেও কংগ্রেসের টানাপড়েন লেগেই রয়েছে বাংলায় আসনরফা নিয়ে। মমতাও জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় তাঁর দল তৃণমূল লোকসভা ভোটে একাই লড়বে। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা বলেননি। নীতীশ জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া নিয়েও বঙ্গের শাসকদলের নেতারা প্রকাশ্যে নীরবই। তবে নীতীশের দলের নেতা মমতাকে জড়িয়ে যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন, ঘনিষ্ঠ মহলে তা খণ্ডন করেছেন তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নীতীশকে শুধু বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হতে দিন। তার পর ওর মুখোশ খুলে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।’’ নীতীশের সঙ্গত্যাগে জোটে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন এনসিপি নেত্রী তথা জোটের অন্যতম মুখ প্রবীণ রাজনীতিক শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও।
কংগ্রেস নেতাদেরও একাংশের বক্তব্য, নীতীশ ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় আখেরে তাদের লাভই হবে। অন্তত বিহারে তো বটেই। কারণ, নীতীশের এই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ মানুষ ভাল চোখে দেখবেন না। জাতীয় রাজনীতির বৃত্তে যাঁরা ঘোরাফেরা করেন, তাঁদেরও একাংশের বক্তব্য, এ বার লোকসভা ভোটে বিহারে কংগ্রেস ও লালুর দলের কাছে বড় সুযোগ রয়েছে মানুষের ‘সহানুভূতি’ কুড়োনোর! লালু-পুত্র তথা সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘আমার কথা মিলিয়ে নেবেন, আমি লিখে দিতে পারি যে, ২০২৪ সালে জেডিইউ শেষ হয়ে যাবে।” বিহারে আগামী বিধানসভা পর্যন্ত নীতীশ-বিজেপি জোট টিকবে না বলেও ভবিষ্যতবাণী করেছেন ‘জন সুরজ’ মঞ্চের নেতা প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, ‘‘এখন যে জোট রয়েছে, যেখানে নীতীশ কুমার বিজেপির সমর্থনে এন়ডিএর মুখ হয়ে উঠেছেন, তা বিহার বিধানসভা ভোট পর্যন্তও টিকবে না। লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার ছ’মাসের মধ্যে এটা হয়ে যাবে। আমি এ কথা লিখে দিতে পারি।’’
শুধু নীতীশই নয়, ডিগবাজিতে ওস্তাদ হিসাবে বিহারের সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই বিঁধেছেন পিকে (জাতীয় রাজনীতিতে এই নামেই সমধিক পরিচিত প্রশান্ত)। তিনি বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার যে ডিগবাজি খেতে ওস্তাদ তা বিহারের মানুষের জানতে বাকি নেই। কিন্তু আজকের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, শুধু নীতীশই নয়, মোদী, অমিত শাহ এবং বিজেপিও অনায়াসে ডিগবাজি খেতে পারেন। এমনকি যে আরজেডি আজ সকাল (রবিবার) পর্যন্ত নীতীশকে বিহারের জন্য সেরা লোক বলে দাবি করছিল, তারাই সূর্য ডোবার আগে সেই নীতীশকে ‘কুশাসন বাবু’ নামে ডাকা শুরু করবে। বিহারের মানুষ কিছুই বুঝতে পারছেন না, যদি এটা ভেবে থাকেন, তাহলে বড় ভুল করবেন।’’
নীতীশের ইস্তফা ও শপথ
ঘটনাপ্রবাহ যে দিকে এগোচ্ছিল, তাতে গত কয়েক দিনেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, নীতীশ ফের বিজেপির হাত ধরতে চলেছেন। রবিবার তা মিলেও গেল। সকালে জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস, বামেদের মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন জেডিইউ নেতা। রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের হাতে ইস্তফাপত্রটি তুলে দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই রইল আমার ইস্তফাপত্র। আমার আর্জি, আপনি সরকার ভেঙে দিন।’’ তার পর বিকেলেই এনডিএ-তে যোগ দিয়ে জেডিইউ-বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের এও জানালেন, যেখানে ছিলেন, সেখানেই আবার ফিরেছেন। এই শেষ! আর কখনও দল বদলাবেন না!
কী বললেন মোদী
বিহারে বিজেপির সমর্থনে আবার নীতীশ সরকার গঠনের পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘‘বিহারে যে নতুন এনডিএ সরকার গঠিত হয়েছে, তা রাজ্যের উন্নয়ন এবং মানুষের আশা পূরণের জন্য কোনও কসুর রাখবে না।’’ এর পর প্রধানমন্ত্রী নীতীশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য নীতীশজি, আপনাকে অভিনন্দন। সম্রাট চৌধুরী, বিজয় সিংহকে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন।’’ তিনি নতুন এই দলের প্রতি আস্থাও প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, ‘‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, নতুন এই দল এই রাজ্যে আমার পরিবারের সদস্যদের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’’
কী বললেন কংগ্রেস নেতারা
নীতীশ যে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন, তা আগেই আভাস পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। তাঁর ‘মানভঞ্জনের’ শেষ চেষ্টাও করা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। সূত্রের খবর, নীতীশকে বেশ কয়েক বার ফোনও করেন খড়্গে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। রবিবার নীতীশ ইস্তফা দিতেই খড়্গে বলেন, “বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং লালু প্রসাদ যাদব আমাকে আগেই এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আজ তা সত্যি হল। তবে দেশে এমন অনেক লোক আছেন যাঁরা আয়া রাম, গয়া রাম গোত্রের মধ্যে পড়েন।” হাবেভাবে তিনি বুঝিয়েও দিতে চেয়েছেন যে, নীতীশের জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াটা খুব একটা চাপ হবে না ‘ইন্ডিয়া’র। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, “নীতীশ কুমার যে ভাবে দলবদলের খেলা শুরু করেছেন, যে ভাবে রং বদলাচ্ছেন, তাতে গিরগিটিকেও কড়া টক্করের মধ্যে পড়তে হবে। এই বিশ্বাসঘাতককে বিহারের জনতা মাফ করবে না। এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, কংগ্রেসের ‘ন্যায় যাত্রা’য় ভয় পেয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।” নীতীশ কুমারকে গিরগিটি রত্ন দেওয়ার দাবি লালুপ্রসাদ যাদবের জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপের। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “যে গতিতে রং বদলাচ্ছেন নীতীশ কুমার, ওঁকে ‘গিরগিটি রত্ন’ দেওয়া উচিত।”
তেজস্বীকে কটাক্ষ ওয়েইসির
নীতীশের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র পরেই তেজস্বীকে কটাক্ষ করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বলেন, “আমি তেজস্বী যাদবকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, কেমন লাগছে? উনি (তেজস্বী) আমাদের চার জন বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছেন। এখন কি তেজস্বী সেই ব্যথা অনুভব করতে পারছেন? আমার সঙ্গে যে ভাবে খেলা হয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই ওঁর সঙ্গে খেলা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy