E-Paper

দলে কর্তৃত্ব রেখে গুরুত্ব বাড়াতে সভাপতি নীতীশ

সভাপতি হিসাবে ব্যাটনটি লাল্লন সিংহ তুলে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। রাজনৈতিক শিবির বলছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল, যদিও পরিপ্রেক্ষিত সম্পূর্ণ ভিন্ন।

nitish kumar.

নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৫২
Share
Save

এক দিকে বিহারের রাজ্য রাজনীতির ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে দলে নিজের প্রভাব ও কর্তৃত্ব ধরে রাখা। অন্য দিকে জাতীয় স্তরে মোদী-বিরোধী ইন্ডিয়া মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা। এই দুইয়ের যোগফলে জেডিইউ-র দু’দিনের রুদ্ধকক্ষ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরে দলের জাতীয় সভাপতি হলেন নীতীশ কুমার।

সভাপতি হিসাবে ব্যাটনটি লাল্লন সিংহ তুলে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। রাজনৈতিক শিবির বলছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল, যদিও পরিপ্রেক্ষিত সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০১৬ সালে তৎকালীন জেডিইউ সভাপতি শরদ যাদবকে সরিয়ে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন নীতীশ। তখন তাঁর রাজনৈতিক লেখচিত্র ছিল ঊধ্বর্গামী। তাঁর নেতৃত্বে বিহারে বিজেপি-বিরোধী মহাজোট হয় জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসকে নিয়ে। বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে নীতীশের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হাতে তখন ১৭৮টি আসন।

আর আজ যখন দ্বিতীয় বার একই ভাবে চলতি সভাপতিকে (লাল্লন সিংহ) সরিয়ে ওই একই পদ বসলেন নীতীশ, তখন তিনি অতীতের ছায়ামাত্র— এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। এখন তাঁর প্রাসঙ্গিকতা জাতীয় রাজনীতিতে আগের মতো নেই। বিজেপি-বিরোধিতার নৈতিক ভাবমূর্তিও তাঁর নেই। কারণ ২০১৭ সালে তিনি ডিগবাজি খেয়ে ফের বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। নীতীশের আসন সংখ্যাও কমে গিয়েছে অনেকটাই। স্বাভাবিক ভাবেই বিহারের রাজনীতিতে লালুপ্রসাদ, তেজস্বীরা নিঃশ্বাস ফেলছেন তাঁর ঘাড়ে। বিহারের অতি অনগ্রসর শ্রেণির (ইবিসি) উপর নীতীশ কুমারের সংশয়াতীত প্রভাব ছিল তাঁর বড় শক্তি। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে নীতীশ তাঁর সেই ভোট ভিত্তি হারাচ্ছেন বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের খবর। ফলে এই সময়টায় তাঁর দলের উপর কর্তৃত্ব বাড়ানোর ছাড়া উপায় ছিল না।

বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “সাংগঠনিক রদবদলের সঙ্গে তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থানের বদল হবে না বলেই আমাদের ধারণা।” বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের কথায়, “নীতীশ দলের এক জন প্রবীণ নেতা, জেডিইউ-র সভাপতি হয়েছেন সে তো ভাল কথা।”

বিহার এবং জাতীয় রাজনীতিতে নীতীশের সঙ্গে লাল্লনের দূরত্ব নিয়ে চর্চা রয়েছে। দল থেকে ইস্তফা দিয়ে লাল্লন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এমন কথাও শোনা যায়। লাল্লন অবশ্য বলেছিলেন, “নীতীশ কুমার আমাদের নেতা। জনতা দল যেমন ইউনাইটেড (ঐক্যবদ্ধ) ছিল, তেমনই থাকবে। আমি ইস্তফা দিলে সংবাদমাধ্যমকে জানাব।’’ শুক্রবার দলের শীর্ষপদ ছাড়লেও লাল্লন জেডিইউ ছাড়ছেন কি না, স্পষ্ট নয়।

Nitish Kumar BJP JDU

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়।

  • সঙ্গে পান রোজ আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই -পেপার পড়ার সুযোগ।

  • এখন না পড়তে পারলে পরে পড়ুন, 'সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে।

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

SAVE 1%*
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।