ছবি: পিটিআই।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠকের ঘোষণার দিনেই মুখোমুখি হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার!
রবিবার পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের ২৬তম বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শাহ। সেখানেই গিয়েছিলেন জেডিইউ নেতা তথা ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম মুখ নীতীশ। ঘটনাচক্রে, রবিবারই বিরোধী জোটের পরবর্তী বৈঠকের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বরেই ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে শাহ-নীতীশের মুখোমুখি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল। যদিও পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক সম্পূর্ণ সরকারি বৈঠক। এই পরিষদে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং সিকিম। অর্থাৎ, নীতীশের রাজ্য ছাড়াও বাকি রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরাও সেখানে ছিলেন।
সরকারি সূত্রে খবর, পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকে বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবি জানিয়ে এসেছেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী দফতর থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বৈঠকে বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১০ সাল থেকে এই দাবি তুলছে বিহার। সম্প্রতি যে জাতগণনা হয়েছে রাজ্যে, তার প্রেক্ষিতে বিশেষ মর্যাদার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। রাজ্য সরকার বঞ্চিত পরিবারদের জন্য বেশ কয়েকটি জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ করেছে। তার জন্য অন্তত আড়াই লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এই জন্য বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’’
মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর দ্বিতীয় পর্বের শুরু থেকেই নীতীশ রাজ্যের বিশেষ মর্যাদাকে অস্ত্র করে লাগাতার আন্দোলনে নামেছিলেন। সভা করেছিলেন দিল্লিতেও। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের তরফে বিশেষ ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। বিহারে ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন নীতীশ। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মোদী কার্যত ছিনিয়ে নিয়েছিলেন নীতীশের এই ‘অস্ত্র’। তাঁর প্রায় প্রতিটি জনসভায় মোদী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে তাঁর সরকার বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদার ব্যবস্থা করবেন। কেন্দ্রে মোদী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তার পর রাজনীতির জল অনেক দূর গড়িয়েছে। নীতীশ এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি বেরিয়েও এসেছেন। এখন বিরোধী জোটের মুখও হয়েছেন। আবারও লোকসভার আগে সেই বিশেষ মর্যাদার দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy