তিন দিনের সফরে সোমবারই দিল্লি গিয়েছেন নীতীশ। —ফাইল ছবি।
রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দিল্লি গিয়ে দেখা করার পর নীতীশ কুমার জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দাবি জানানো তাঁর উদ্দেশ্য নয়। বরং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বিরোধী জোটকে আরও শক্তিশালী করে তোলাই তাঁর উদ্দেশ্য। সেই নিয়েই কথা বলেছেন রাহুলের সঙ্গে, জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপির হাত ছেড়ে লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেসের হাত ধরে বিহারে অষ্টম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ। বাইরে থেকে সমর্থন জানিয়েছে বামেরা। তার পর থেকেই জল্পনা, বিহার ছেড়ে এ বার নীতীশ দিল্লির দিকে নজর দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নিজেকে তুলে ধরতে পারেন। নীতীশ যদিও বার বার উড়িয়ে দিয়েছেন সেই জল্পনা। বিহারে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বার রাহুলের সঙ্গে দেখা করে সেই দাবিই করে গেলেন।
সাক্ষাতের পর নীতীশ বলেন, ‘‘আঞ্চলিক দলগুলিকে দুর্বল করার একটা চেষ্টা চলছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আমি বিরোধী দলগুলিকে এক জোট করতে চাই। নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরার কোনও উদ্দেশ্য আমার নেই।’’
তিন দিনের সফরে সোমবারই দিল্লি গিয়েছেন নীতীশ। সঙ্গে রয়েছেন জেডিইউয়ের জাতীয় সভাপতি লল্লন সিংহ, বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয় ঝা, অশোক চৌধরি। রাহুলের পর এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, জনতা দল সেক্যুলারের প্রধান এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন নীতীশ। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বাম নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসার কথা নীতীশের।
জেডিইউয়ের একটি সূত্র বলছে, খুব শিগগিরই কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা সফরে যাবেন নীতীশ। বিজেপি এবং তাদের জোট শাসিত তিন রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় বাড়ানোই তাঁর উদ্দেশ্য। ২ সেপ্টেম্বর একই উদ্দশ্যে পটনা গিয়ে নীতীশের সঙ্গে বৈঠক করেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy