তৃণমূল সাংসদরা সুযোগ পেলেই সংসদে শোরগোল করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কথা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অভিযোগ তুললেন। তৃণমূল সাংসদদের আক্রমণ করে অর্থমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘এটা পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতার রাস্তা নয়, যেখানে নিজেরা ঢিল ছুড়ে তার পর চলে যাবেন। শুধুই কাদা ছুড়বেন। তার পরে মন্ত্রীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হবে।’’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূল সাংসদদের কাজের রিপোর্ট দিতে হয় বলেই তাঁরা হইচই করেন, এই অভিযোগও তোলেন নির্মলা। আবার একই সঙ্গে সিপিএমকে নিশানা করে তিনি বলেন, সিপিএমের থেকেই তৃণমূল এই উত্তরাধিকার পেয়েছে।
মণিপুরের বাজেট ও কেন্দ্রীয় বাজেটের অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় আজ নির্মলা দাবি করছিলেন, মোদী সরকার মণিপুরে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে দায়বদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী কেন মণিপুরে গেলেন না, সেই প্রশ্নের জবাবে তাঁর যুক্তি, কংগ্রেসের নরসিংহ রাও সরকার, পরে ইন্দ্রকুমার গুজরালের সরকারের সময়ও মণিপুরে হিংসা হয়েছে। তখনও প্রধানমন্ত্রীরা মণিপুরে যাননি।
এই সময়ই সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদরা প্রশ্ন তোলেন, মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের বিরুদ্ধেই মণিপুরে হিংসা তৈরির অভিযোগ। তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী কী বলবেন? এতেই পাল্টা আক্রমণে অবতীর্ণ হন নির্মলা। তৃণমূল সাংসদরা ওয়াক আউট করার পরেও তিনি আক্রমণ থামাননি। পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাতে সরকারি প্রকল্পের টাকা জমা পড়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। নির্মলার দাবি, সিএজি রিপোর্টে বলেছে, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উদ্ধার না করে রাজ্য করদাতাদের অর্থে কোষাগারের ক্ষতিপূরণ করেছে। সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ তোলেন, মণিপুরের হিংসায় এ বার সাম্প্রদায়িক হানাহানি দেখা গিয়েছে। তার জবাবে সিপিএমকেও আক্রমণ করে নির্মলা অভিযোগ তোলেন, সিপিএমের জমানায় পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বড় সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। ত্রিপুরা, কেরলকেও বামেদের ভুল নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)