Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National News

আইনের সব দরজা বন্ধ, জেলেই আমরণ অনশনে নির্ভয়া কাণ্ডের এক দণ্ডিত

বিনয়ের দাবি, সে যে মানসিক ভাবে সুস্থ নয় এবং জেলের মধ্যে নির্যাতন করা হচ্ছে, সেই বিষয়টিতে রাষ্ট্রপতি গুরুত্ব দেননি।

নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিত বিনয় শর্মা। —ফাইল চিত্র

নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিত বিনয় শর্মা। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৪৯
Share: Save:

একে একে সব দরজা বন্ধ হয়েছে। নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সব ক্ষেত্রেই আইনি লড়াইয়ে হেরেছে। পবন গুপ্ত বাদে নির্ভয়া কাণ্ডের তিন দণ্ডিতের প্রাণভিক্ষার আর্জিও ফিরিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কার্যত ফাঁসিকাঠের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে দণ্ডিতরা। ফাঁসি থেকে বাঁচার সমস্ত পথ একে একে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এ বার অনশনে বসল এক দণ্ডিত। সোমবার আদালতে এমনটাই জানালেন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ।

দু’বার জারি করেও কার্যকর হয়নি নির্ভয়া কাণ্ডের দণ্ডিতদের ফাঁসির আদেশ। সোমবার নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। সেই মামলার শুনানিতেই অভিযুক্তদের সম্পর্কে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ একটি স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে পেশ করেন।

সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলের মধ্যেই আমরণ অনশনে বসেছে বিনয় শর্মা। গত সপ্তাহেই বিনয়ের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই আমরণ অনশনে বসেছে বিনয়, জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। বিনয়ের দাবি, সে যে মানসিক ভাবে সুস্থ নয় এবং জেলের মধ্যে নির্যাতন করা হচ্ছে, সেই বিষয়টিতে রাষ্ট্রপতি গুরুত্ব দেননি। যদিও গত ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র একটি রিপোর্টে জানায়, মানসিক ভাবে সুস্থ আছে বিনয়।

আরও পডু়ন: নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসি ৩ মার্চ, জারি নয়া মৃত্যু পরোয়ানা

আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে এর্ডোয়ানের মন্তব্যের জের, তুরস্ককে ‘প্রতিবাদ পত্র’ পাঠিয়ে কড়া বার্তা ভারতের

নির্ভয়া-কাণ্ডের চার দণ্ডিত মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর ও পবন গুপ্তকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তার পর থেকে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর্ব কার্যত শেষ। এখন শুধু পবন গুপ্তের হাতে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি।

এমন পরিস্থিতিতেই সোমবার নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। সেই অনুযায়ী, আগামী ৩ মার্চ সকাল ছ’টায় তিহাড় জেলে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে চার জনের। আবার সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও ফাঁসির জন্য অন্তত ১৪ দিন সময় দিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে পবন দুই আইনি বিকল্পের আর্জি জানাবে কি না এবং তা শেষ করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিলই। বিনয়ের অনশনে সেই জটিলতা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে আইনজ্ঞ মহল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy