পবন গুপ্ত। —ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়াকাণ্ডে দণ্ডিতদের। তার আগে সোমবার দণ্ডিত পবন গুপ্তর মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বাতিল করে তা যাবজ্জীবন কারাবাসে পরিণত করতে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পবন। আদালতে তা খারিজ হয়ে গেলেও, এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারে সে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় পবন। তাতে সে দাবি করে, ২০১২ সালে ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর দু’মাস। তবে জুভেনাইল আইন অনুযায়ী তার বয়স নির্ধারণ করা হয়নি। সেই যুক্তিতে পবনের সাজা কমানোর আর্জি জানান আইনজীবী এপি সিংহ।
কিন্তু সোমবার পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এ বার রাষ্ট্রপতির কাছেই প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারে পবন। মামলার বাকি তিন আসামি, মুকেশ কুমার সিংহ, বিনয় কুমার শর্মা ও অক্ষয় কুমারের প্রাণভিক্ষার আর্জি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় মৃত আরও এক, করোনায় মৃত্যুসংখ্যা পেরলো তিন হাজার
প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল মুকেশ কুমার সিংহ ও বিনয় কুমার শর্মা। কিন্তু দু’জনেরই আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অক্ষয় কুমার অবশ্য এখনও পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেওয়ায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ, থানা ঘেরাও করবে এবিভিপি
২০১২ সালে রাজধানীর বুকে চলন্ত বাসে ২৩ বছরের নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মুকেশ, বিনয়, অক্ষয় ও পবনকে। গত ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু দণ্ডিতরা একে একে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে শুরু করলে পরে তা পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। শেষ মেশ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন করে মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। তাতে ৩ মার্চ একসঙ্গে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy