তাঁর ভারতে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লন্ডনের হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গেল নীরব মোদীর সেই আবেদন। এর ফলে এগারো হাজার কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারির মূল হোতা নীরবকে দেশে ফিরিয়ে আনার পথে আরও এক কদম এগিয়ে গেল সরকার।
কেলেঙ্কারির কথা জানাজানি হওয়ার পর ৫১ বছরের হিরে ব্যবসায়ী নীরব ২০১৮-য় দেশ ছেড়ে পালান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সম্প্রতি ব্রিটেনের আদালতে জানানো হয়, তাঁকে ভারতে ফেরানো হলে সেখানে নীরব আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। তাই তাঁকে যেন ভারতের হাতে না ছাড়া হয়।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি হাই কোর্টেও একই আবেদন করেছিলেন নীরবের আইনজীবীরা। কিন্তু গত মাসেই লন্ডন হাই কোর্টে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর নীরবের কাছে সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা ছিল। কিন্তু সে জন্য দরকার ছিল হাই কোর্টের অনুমতির। সেই অনুমতি দেওয়ার আগে আদালত খতিয়ে দেখে, আবেদনটি আদৌ সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কি না। নীরবের আবেদনটিকে সেই মানদণ্ডে ফেলতে পারেননি বিচারপতিরা। তাই নীরবের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেল। নীরবের কাছে শেষ রাস্তা, ‘ইউরোপীয়ন কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটস’-এ আবেদন করা। ২০১৯-এর মার্চে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে লন্ডনের জেলেই রয়েছেন নীরব। তাঁর আশঙ্কা, ভারতের জেলে তাঁকে আত্মহত্যা করতে হতে পারে।
হাই কোর্টে আবেদন খারিজ হওয়ার পর তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আরও এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। প্রসঙ্গত, পিএনবি কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত নীরব ইডি এবং সিবিআই— দুই তদন্তকারী সংস্থারই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার একেবারে উপরের দিকে আছেন।