ফাইল চিত্র।
ওমিক্রনের চোখ রাঙানির মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হলেন ৬ হাজার ৫৩১ জন। ফলে, দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৭৫ হাজার ৮৪১ জন। এ দিন দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১৫ জন, সব মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৯৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে মোট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৮ হলেও সুস্থ হয়েছেন ১৪১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩১ জন। তবে সুস্থ হয়েছেন ১৪৪ জন বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বর্তমানে দিল্লিতে মোট অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৮৯ জন। সব মিলিয়ে দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৮৩ জন। উল্লেখ্য, দিল্লিতে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪২, যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর। দিল্লির পরে তালিকায় নাম রয়েছে মহারাষ্ট্র, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪১। কেরল, যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ জন। গুজরাত ও রাজস্থান, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৯ ও ৪৩। এই অবস্থায় সোমবার, অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর থেকে রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী। রাত ১১টা বাজলেই শুরু হবে নাইট কার্ফু।
মঙ্গলবার থেকে দশ দিনের জন্য রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কর্নাটকেও। সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, নাগরিকদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্যই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর থেকে রাত ১০টায় শুরু হচ্ছে নৈশকালীন বিধিনিষেধ। শেষ হচ্ছে সকাল পাঁচটায়। রাত ১০টার পরে কমিয়ে দেওয়া হবে মেট্রো চলাচলও। রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কর্নাটকে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৮ জন। প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, আক্রান্ত ৩৪৮ জনের মধ্যে ২৪৮ জনই বেঙ্গালুরু শহরের। সোমবার ওমিক্রন হানা দিয়েছে মণিপুরেও। সে রাজ্যে তানজ়ানিয়া থেকে ফেরা ৪৮ বছর বয়সি এক পর্যটকের দেহে পাওয়া গেল এই ভেরিয়েন্টের নমুনা। তানজ়ানিয়া থেকে ফেরার আট দিন পরে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত রাজ্যের জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে তাঁকে বিচ্ছিন্নবাসে রাখা হয়েছে। এ দিকে, অরুণাচলপ্রদেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এক জন। বর্তমানে সে রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৬।
রবিবার মধ্যপ্রদেশে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ন’জন ওমিক্রন আক্রান্তের। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ১৬৪ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হল সোমবার। যদিও ওমিক্রনে আক্রান্ত ন’জনের সাত জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, গোয়াতে আট বছরের এক বালকের দেহে পাওয়া গেল ওমিক্রনের হদিশ। গত ১৭ জানুয়ারি ব্রিটেন থেকে পরিবারের সঙ্গে গোয়ায় ফিরেছিল সে। আপাতত তাকে ও তার পরিবারকে বিচ্ছিন্নবাসে রাখা হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যেই সোমবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য নতুন কোভিড বিধি প্রকাশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা জানিয়েছেন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি নিয়মিত পরীক্ষা, টিকাকরণ ও বিধি নিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। নজর রাখতে বলা হয়েছে ওমিক্রন সংক্রমণের উপরেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy