প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ধৃতদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই অভিযানে নেমে পড়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সাত রাজ্যের মোট ১৭টি জায়গায় একসঙ্গে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক-সহ সাত রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার (এলটিই) কয়েক জন জেলবন্দি সদস্যকে জেরা করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদী মামলায় যুক্ত কয়েক জন সন্দেহভাজনের খোঁজে অভিযান চালানো হয়েছে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে ঘটা বিস্ফোরণকাণ্ডে সন্দেহভাজনের সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছে এনআইএ।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে বেঙ্গালুরু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, অনেক রাউন্ড গুলি এবং চারটি ওয়াকি-টকি পাওয়া গিয়েছিল তল্লাশি অভিযানে। সেই অভিযানে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলের মধ্যে অন্যান্য বন্দিদের সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। সেই মামলায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আট জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল এনআইএ। সেই চার্জশিটে নাম থাকা দু’জন এখনও পলাতক। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, পলাতকদের সন্ধানেই এই তল্লাশি অভিযান।
লস্করের অন্যতম সদস্য টি নাসির এই মামলা জড়িত বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। অভিযোগ, তিনি বেঙ্গালুরু জেলের মধ্যে একাধিক বন্দিকে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জুনায়েদ আহমেদ এখনও পলাতক। এনআইএ গত বছর অক্টোবরে মামলাটি হাতে নেয়। তার পর জুনায়েদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। যদিও তাঁর খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy