পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারী এবং সমীর গুহের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন, কী ভাবে কোথা থেকে জঙ্গিরা বৈসরন উপত্যকায় এসেছিল এবং কী ভাবে তারা হামলা চালাল।
তদন্তকারী সংস্থার একটি সূ্ত্রের দাবি, নিহতদের পরিজন, যাঁরা মূলত প্রত্যক্ষদর্শী, তাঁদের প্রাথমিক ভাবে অন্তত আটটি প্রশ্ন করছেনই গোয়েন্দারা। তার পর তাঁদের জবাবের ভিত্তিতে অন্য প্রশ্ন করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জঙ্গি হামলায় নিহত বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ভরত ভূষণের বাড়িতেও গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ভরতের স্ত্রী সুজাতাকেও তাঁরা আটটি প্রশ্ন করেছিলেন। ওই আটটি প্রশ্ন হল—
১। আপনারা কবে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন এবং কবে পৌঁছেছিলেন?
২। জঙ্গিরা যখন বৈসরন উপত্যকায় এসে হাজির হয়েছিল, তখন আপনি কোথায় ছিলেন? আপনার স্বামী কোথায় ছিলেন?
৩। জঙ্গিরা কোন ভাষায় কথা বলছিল?
৪। জঙ্গিদের মুখে কোনও দাগ দেখতে পেয়েছিলেন?
৫। ওদের হাতের অস্ত্র কী রকম দেখতে?
৬। ওরা কি আপনার সঙ্গে একবারও কথা বলেছিল?
৭। আপনি কি কোনও উত্তর দিয়েছিলেন?
৮। ওদের দেখতে কী রকম ছিল? কী পোশাক পরেছিল ওরা?
গত ২২ এপ্রিল বৈসরনে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর দিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সন্ত্রাসদমন শাখার আইজি, ডিজি এবং এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত এনআইএ-র ওই দলটি বৈসরন থেকে টুকরো টুকরো তথ্য সংগ্রহ করছে। কোথা দিয়ে জঙ্গিরা এসেছিল, প্রথম হামলা কখন হল, পর্যটকদের সঙ্গে কী কী করা হয়েছিল, প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। আর সেই তথ্য জোগাড়ে হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা।
শনিবার দুপুরে এনআইএ-র তিন আধিকারিক পশ্চিমবঙ্গে আসেন। পহেলগাঁও কাণ্ডে হত বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহর বাড়িতে যান তাঁরা। প্রায় চার ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ছিলেন আধিকারিকারেরা। কথা বলেন নিহত সমীরের স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে। রবিবার তদন্তকারীরা গিয়েছিলেন বিতানের বৈষ্ণবঘাটার বাড়িতে।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। পারতপক্ষে সেটি স্বীকার করেও নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তার বাইরে আর কোন কোন বিষয় এই হামলাকে সফল করতে সাহায্য করেছে, সেই সূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার, এর পর আর কেউ মধ্যস্থতার সময় পাবে না, দাবি পাক সেনাকর্তার
-
বিষয় ‘অপারেশন সিঁদুর’! প্রবন্ধ লিখে মিলবে আর্থিক পুরস্কার, সঙ্গে লালকেল্লায় যাওয়ার সুযোগও
-
মালয়েশিয়ায় পিওকে প্রসঙ্গ অভিষেকের মুখে, আলজিরিয়ায় ওয়েইসির তোপে ‘সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা’ পাকিস্তান
-
সিঁদুর অভিযানের ১৫ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে ‘ভুয়ো গল্প’ মোকাবিলায়! জানালেন সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল চৌহান
-
সাত রাজ্য থেকে অন্তত ১৫ ‘চর’ গ্রেফতার! পাকিস্তানে তথ্য পাচারের চক্র কতটা বিস্তৃত? ভাবাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দাদের