ফাইল চিত্র।
উদয়পুরের মতো মহারাষ্ট্রের অমরাবতী হত্যাকাণ্ডেও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গোয়েন্দাদের মতে, সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতেই পরিকল্পিত ভাবে ওই খুন করা হয়েছিল। অশান্তি ছড়াতে ধর্মের দোহাই দিয়ে আরও একাধিক খুনের পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের।
গত ২১ জুন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে পেশায় ফার্মাসিস্ট উমেশ কোলহেকে হত্যা করে এক দল দুষ্কৃতী। প্রাথমিক ভাবে একে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে খুন বলে স্থানীয় পুলিশ ব্যাখ্যা দিলেও প্রায় দিন সাতেক বাদে উদয়পুর কাণ্ডের পরে ওই মামলা এনআইএ-র হাতে যায়। গোয়েন্দাদের মতে, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বলা যেতে পারে, কোলহের হত্যাকাণ্ড একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। নুপূর শর্মার বক্তব্যের সমর্থনকারী কোলহেকে হত্যার মাধ্যমে একদিকে ধর্মের অবমাননার প্রতিশোধ ও অন্য দিকে এ ধরনের আরও বেশ কিছু হত্যা ধারাবাহিক ভাবে করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি শুরু করানোই ছিল এদের লক্ষ্য। উদয়পুর কাণ্ডেও ধৃতদের লক্ষ্য অনেকাংশে এক ছিল। তাই এ ক্ষেত্রে দু’টি খুনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উদয়পুর কাণ্ডে ধৃত দুই অভিযুক্ত পাকিস্তানের দাওয়াত-ই-ইসলামি নামে সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। দাওয়াত-ই-ইসলামি একটি ধর্মীয় সংগঠন। যারা মূলত ধর্মীয় প্রচারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন ও সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। উদয়পুর কাণ্ডে ধৃতদের সঙ্গে ওই সংগঠনের সম্পর্ক পাওয়া গেলেও অমরাবতী কাণ্ডে এখনও সে ভাবে কোনও যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। তবে গোয়েন্দারা বিশ্বাসী, যে ভাবে ধৃতরা হ্ত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টায় ছিল, তা থেকে মনে করা হচ্ছে এদের পিছনে কোনও ভারত-বিরোধী আন্তর্জাতিক চক্র সক্রিয় রয়েছে। ওই ঘটনায় যে সাত জন গ্রেফতার হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ১৩টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। ওই তল্লাশিতে বিভিন্ন প্ররোচনামূলক কাগজ ও সমাজের মধ্যে বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক প্যামফ্লেট পাওয়া গিয়েছে। এনআইএ সূত্রের মতে, ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, মেমরি কার্ড, জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকারের মতো যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আপাতত সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উদয়পুর ও অমরাবতীতে যে ভাবে এক জনকে বেছে নিয়ে তার উপরে হামলা চালানো হয়েছে, তাতে আইএসের মতাদর্শের প্রভাবও দেখছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy