বাঁ দিকে ইরফান নাসির এবং আহমেদ আবদুল কাদের।
বেঙ্গালুরুতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বড়সড় চক্র ফাঁস করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বুধবার ওই চক্রের দুই চাঁইকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের মতে, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আইএসে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু থেকে ইরাক এবং সিরিয়া রওনা দিয়েছিল ১৩ থেকে ১৪ জনের একটি দল, যা এখনও পর্যন্ত সারা দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম। তার পিছনে ধৃত দু’জনের হাত রয়েছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
বছর চল্লিশের আহমেদ আবদুল কাদের একটি ব্যাঙ্কের বিজনেস অ্যানালিস্ট। অন্য জন ইরফান নাসির পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। তাদের দু’জনকেই গতকাল গ্রেফতার করে এনআইএ। দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেঙ্গালুরুতে ১৩ থেকে ১৪ জনের একটি জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলেছিল তারা। এনআইএ সূত্রে খবর, ওই দুই যুবক এবং তাদের আরও কয়েক জন সহযোগী হিজবুত তাহরির (এইচইউটি) নামে একটি আন্তর্জাতিক মৌলবাদী সংগঠনের সদস্য হিসাবে কাজ করত। পরে তারা ‘কোরান সার্কল’ নামে একটি গোষ্ঠীও গড়ে তোলে। ওই সব কার্যকলাপকে সামনে রেখে ধৃতরা তরুণদের মগজধোলাই করত। আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনে লোক টানার কাজ করত তারা। এমনকি ওই দু’জন অন্তত ৫ জনকে ইরাক এবং সিরিয়ায় পাঠানোর টাকাও জোগাড় করেছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
২০১৬ সালে আইএসে যোগ দিতে কেরলের কাসারাগড় থেকে ইরাক এবং সিরিয়ায় পাড়ি দেয় ২২ জনের একটি দল। সেটাই এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ দল বলেই ধরেন গোয়েন্দারা। সংখ্যার দিক থেকে তার ঠিক পরেই রয়েছে বেঙ্গালুরুর এই দলটি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ওই মডিউলের ২ সদস্যের সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে ২০১৭ সালে ইরাক আইএসের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করে ইরাক। ২ বছর পর, ২০১৯ সালে সিরিয়াতেও আইএসের শেষ দুর্গটা ভেঙে পড়ে। এর পর আইএসের অনেক সদস্যই এখন দেশমুখী বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, বেঙ্গালুরু মডিউল থেকে ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএস শিবিরে যোগ দেওয়া অনেকেই এখন চুপিসারে ঘরে ফিরে এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকে অবশ্য এখনও ফেরার।
আরও পড়ুন: লাদাখে চিনের ‘একতরফা আগ্রাসন’-এর সব তথ্য ওয়েবসাইট থেকে মুছল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
গত অগস্টে আইএস অপারেটিভ সন্দেহে বেঙ্গালুরুর এক চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে গ্রেফতার করে এনআই। গোয়েন্দাদের দাবি, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁরা বেঙ্গালুরু মডিউলের কথা জানতে পারেন।
আরও পড়ুন: ‘সম্প্রতি বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার হচ্ছে বেশি’, উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy