খসড়া প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস এবং সম্পাদকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ প্রেস ইনফর্মেশন বুরো (পিআইবি) সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত কোনও সংবাদকে ভুয়ো খবর বলে দেগে দেওয়ার পরে বেসরকারি সমাজমাধ্যম সংস্থাগুলিকে তা মুছে ফেলতেই হবে— নরেন্দ্র মোদী সরকারের এমন একটি খসড়া প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস এবং সম্পাদকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া।
দিন কয়েক আগে কেন্দ্র তথ্যপ্রযুক্তি আইনের খসড়ায় এই প্রস্তাব সংযোজন করার পরে এডিটর্স গিল্ড বিবৃতি দিয়ে এই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছে, কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে ভুয়ো খবর বিচারের দায়িত্ব থাকাটা ‘সেন্সরশিপ’-এর নামান্তর। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তাতে খর্ব হতে বাধ্য। তার বদলে সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক সংগঠন এবং অন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকারের উচিত ভুয়ো সংবাদ বাছাইয়ের একটি কার্যকর ব্যবস্থা প্রণয়ন করা।
গিল্ডের বিবৃতিতে বলেছে, ২০২১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের খসড়া সরকার আলোচনার জন্য প্রকাশের পরই তা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিল এই সংগঠন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে বলে তখনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের সংস্থা পিআইবি-কে এই দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবে সেই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে, কারণ সরকারের হাতে খবরের সত্যাসত্য বিচার সব সময়েই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের নামান্তর। সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে এমন যে কোনও সংবাদ তারা ‘ভুয়ো’ বলে দেগে দিলে সমাজমাধ্যম সংস্থাকে তা বাধ্যতামূলক ভাবে সরাতে হবে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বিবৃতিতে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছে, ‘কেন্দ্র আইটি রুল বলতে ইমেজ টেলরিং রুল বোঝে।’ খেরা আরও বলেন, সরকার এখন সমাজমাধ্যমকে শায়েস্তা করতে নিজেরাই বিচারক এবং নিজেরাই শাস্তিদাতার ভূমিকা নিয়েছে। কোনটা আসল খবর আর কোনটা ভুয়ো খবর ঠিক করার নামে পিআইবি আসলে সমাজমাধ্যমে নজরদারি ও দখলদারির কাজটা করবে। তাদের দায়িত্ব হবে সেই খবরকেই ভুয়ো প্রতিপন্ন করা, যা মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। ইতিমধ্যে তারা এই কাজ শুরু করেছে জানিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র দেখিয়েছেন, রেল বেসরকারিকরণ বা লাদাখে চিনা সেনাদের দখলদারি নিয়ে রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে ভুয়ো সংবাদের লেবেল দিয়েছিল পিআইবি। অথচ দুই ক্ষেত্রেই সরকার পরে অভিযোগগুলি মেনে নিয়েছে। খেরা মন্তব্য করেছেন, মোদী সরকারের সৌজন্যে ‘কোলের সংবাদমাধ্যম’ (গোদী মিডিয়া) শব্দটি এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। এ বার তারা ‘কোলের সমাজমাধ্যম’ (গোদী সোশ্যাল মিডিয়া) তৈরিতে নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy