Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Arvind Kejriwal

‘রাজনীতি এত নীচে নামেনি’, বিজেপির ‘সন্ত্রাসী’কটাক্ষে মন্তব্য কেজরীবাল কন্যার

ইতিমধ্যেই প্রবেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)।

হর্ষিতা কেজরীবাল। —টুইটার থেকে সংগৃহীত।

হর্ষিতা কেজরীবাল। —টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৫
Share: Save:

বাবাকে সন্ত্রাসবাদী বলায় এ বার ফুঁসে উঠলেন কেজরীবাল কন্যা হর্ষিতা। বিজেপি নেতাদের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এর আগে কখনও রাজনীতি এত নীচে নামেনি।

আইআইটি দিল্লি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন হর্ষিতা কেজরীবাল। তাঁর কথায়, ‘‘শুনতাম রাজনীতি অত্যন্ত নোংরা জায়গা, কিন্তু এত নীচে বোধহয় আগে নামেনি। বিনামূল্যে মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া কি সন্ত্রাসবাদের মধ্যে পড়ে? কচিকাঁচাদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা উন্নত করাও কি সন্ত্রাসবাদ?’’

দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই কুকথার ফোয়ারা ছুটছে রাজনীতিকদের মুখে। বিজেপির প্রবেশ বর্মা তাঁদের অন্যতম। বিজেপির এই সাংসদ সম্প্রতি কেজরীবালকে সন্ত্রাসবাদী বলে আক্রমণ করেন। একটি নির্বাচনী সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যেই মুসলিমদের হাতে হিন্দু মহিলাদের অপহরণ হয়ে যাওয়ার কথা শুনি আমরা। কেজরীবালের মতো সন্ত্রাসবাদীরা চারিদিকে ঘাপটি মেরে রয়েছেন বলেই এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা যায় না। কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়ব নাকি কেজরীবালের মতো সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে?’’

আরও পড়ুন: নির্ভয়া: এক সপ্তাহেই দণ্ডিতদের সমস্ত আইনি সুযোগ শেষ করতে হবে, নির্দেশ আদালতের

এই মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই প্রবেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। তাঁর গ্রেফতারির দাবি তুলেছে। তবে তাতেই বিতর্ক থামেনি। বরং কেজরীবালকে নিয়ে একই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘নিরীহ সেজে লোকের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেজরীবাল। সকলের কাছে জানতে চাইছেন ‘আমি কি সন্ত্রাসবাদী’? হ্যাঁ, আপনি সন্ত্রাসবাদী। আপনার বিরুদ্ধে অনেক প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া আপনি নিজেই তো নিজেকে নৈরাজ্যবাদী বলেছেন। সন্ত্রাসবাদী আর নৈরাজ্যবাদীর মধ্যে তেমন তফাত নেই।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি নির্বাচনের মুখে রামমন্দির ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা মোদীর​

তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন হর্ষিতা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘যা খুশি বলতে দিন ওদের। দরকার হলে ২০০ সাংসদ এবং ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসুন। আমরা একা নই। দু’কোটি মানুষ আপের হয়ে প্রচার করছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। বোঝা যাবে মানুষ এই সব অভিযোগ কানে তুলেছেন নাকি কাজ দেখে ভোট দিয়েছেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy