Advertisement
E-Paper

ডোকলামে বাঙ্কার, অস্ত্রাগারের সারি, ভুটানের জমিতে সেনাঘাঁটি চিনের

সিন চে লা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ডোকা লা। ২০১৭ সালে ওই গিরিপথেই টানা ৭৩ দিন ‘মুখোমুখি অবস্থানে’ (স্ট্যান্ড অফ) ছিল ভারত এবং চিন সেনা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ২০:৫৩
Share
Save

লাদাখের পরে এ বার ‘ড্রাগনের নজর’ ভুটানের জমিতে। শুধু ডোকলাম উপত্যকায় ঢুকে গ্রাম বসানো নয়, নয়া উপগ্রহ চিত্র বলছে ভুটানের ওই এলাকায় সেনাঘাঁটি গড়েছে চিন। বানিয়ে ফেলেছে বড় অস্ত্রাগার।

চিনা ফৌজের বর্তমান অবস্থান ডোকলাম মালভূমির পূর্বাংশে অবস্থিত সিনচে লা গিরিপথের মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে। সিনচে লা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ডোকা লা। ২০১৭ সালে ওই গিরিপথেই টানা ৭৩ দিন ‘মুখোমুখি অবস্থানে’ (স্ট্যান্ড অফ) ছিল ভারত এবং চিন সেনা। সে সময় চিনা ফৌজ জোমপেলরি গিরিশিরা পর্যন্ত এগিয়ে আসার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সেনার বাধায় তা সম্ভব হয়নি।

অক্টোবর মাসে তোলা ম্যাক্সার-এর উপগ্রহ চিত্র বলছে, ওই এলাকায় সারি সারি বাঙ্কার বানিয়েছে চিন। বানানো হয়েছে, কালো রঙের ছাউনি দেওয়া বড় কাঠামো। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সেগুলি ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত করার আস্তানা। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে সামরিক বিশেষজ্ঞ সিম ট্যাকের মন্তব্য, ‘‘২০১৭ সালের মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দ্রুত প্রত্যাঘাতের লক্ষ্যে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন।’’

আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর পোস্ট’ আইন আপাতত কার্যকর নয়, ঘোষণা বিজয়নের

চিন-ভুটান সীমান্তের পশ্চিম সেক্টরের ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার এবং মধ্য সেক্টরের ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার ভুটান-ভূখণ্ড চিন দাবি করছে অনেক দিন ধরেই। ডোকলাম মালভূমির বেশ কিছু অংশও এর মধ্যে রয়েছে। ২০১৭ সালের পরেও সেখান থেকে চিনা ফৌজ পুরোপুরি সরেনি বলে অভিযোগ। সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই সেখানে চিনা ফৌজের শিবির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ডোকলাম উপত্যতায় প্রায় ৯ কিলোমিটার বানিয়ে ফেলেছে চিন। সেই রাস্তার অভিমুখ ভারত সীমান্তবর্তী জোমপেলরি গিরিশিরা।

আরও পড়ুন: গালভরা বক্তৃতায় চিনের মোকাবিলা অসম্ভব, ডোকলাম নিয়ে সরব রাহুল

ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি তথা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পনাগ সোমবার বলেন, ‘‘উপগ্রহ চিত্র দেখে মনে হচ্ছে, ওখানে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ডিপো রয়েছে।’’ নয়া উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে সিম ট্যাক জানিয়েছেন, প্রয়োজনে হামলার উদ্দেশ্যেই ডোকলামে সেনা এবং অস্ত্র মজুত করছে চিন। ভুটান সরকার অবশ্য এখনও চিনের দখলদারির কথা স্বীকার করেনি।

আরও পড়ুন: করোনা জিতেও প্রয়াত অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ

Doklam Ladakh China India-China Conflict Bhutan PLA LAC Zompelri Ridge Doka La Sinche-La

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।