Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

‘গণভোটে’ ধাক্কা, ব্যঙ্গবিদ্ধ আইটি সেল

সিএএ লিখতে গিয়ে সিসিএ! ‘খেই’ ধরিয়ে দিয়েছিলেন খোদ বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪৩
Share: Save:

দিনভর ছড়াল #ইন্ডিয়াসাপোর্টসসিসিএ।

সিএএ লিখতে গিয়ে সিসিএ! ‘খেই’ ধরিয়ে দিয়েছিলেন খোদ বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রচারে নেমে ভুল হ্যাশট্যাগে পোড়া ট্রেনের ছবি দিয়েছিলেন তিনি। একহাত নিয়েছিলেন প্রতিবাদীদেরও। তার পর বেলা যত বাড়ল, দেখা গেল— বিজেপি সমর্থকেরা লাগাতার টুইট করে সেই ভুল হ্যাশট্যাগটাই ট্রেন্ডিং করিয়ে দিয়েছেন টুইটারে! বিকেল ৫টার মধ্যেই ভুল হ্যাশট্যাগে ৫০ হাজারেরও বেশি টুইট!

হ্যাশট্যাগের এই ভ্রান্তিবিলাসে হাসির রোলও উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নানা জন নানা অর্থ বার করলেন এই ‘সিসিএ’-র। ভুয়ো খবর ধরার বিশেষজ্ঞ প্রতীক সিন‌হার টুইট কটাক্ষ, ‘‘সিসিএ=কপি ক্যাট অ্যাসোসিয়েশন।’’ কারও ব্যঙ্গোক্তি, ‘‘সিসিএ মানে কি ক্যানসেলেশন অফ সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট?’’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘সিসিএ মানে বোধ হয় ক্যালক্যাটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি?’’ আরেক জনের প্রশ্ন, ‘‘সিএএ-র বদলে সিসিএ কে সমর্থন করার পরে কি এনআরসির বদলে এনসিআর-কে সমর্থনের ডাক দেওয়া হবে?’’ স্বীকার না-করলেও ফের মুখ পুড়ল বিজেপির।

আরও পড়ুন: সব বুলেটের লক্ষ্য সংবিধান: আজাদ

#ইন্ডিয়াসাপোর্টসসিএএ— এই হ্যাশট্যাগে কার্যত গণভোটের ঢংয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে টুইটারে সমর্থন চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর আর্জি রিটুইট করে আসরে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরুদ্ধ স্বর হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা আসে #ইন্ডিয়াডাজ়নটসাপোর্টসিএএ-সহ বেশ কয়েকটি হ্যাশট্যাগে। কাল রাত থেকে শুরু করে আজ সকাল পর্যন্ত বিরোধী সব হ্যাশট্যাগই টুইটারে কখনও পয়লা, তো কখনও প্রথম চারের ট্রেন্ডিং হিসেবে উঠে আসে। অনেক সময়ই তা ছাপিয়ে গিয়েছে ‘সরকারি’ প্রচারকে। এই টেক্কা দেওয়া নিয়ে উল্লাস চোখে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সিএএ-র গুণ গাইতে গিয়ে মোদী যে ভাবে গত কাল সদ্‌গুরুর ‘শরণ’ নিয়েছিলেন, তা নিয়েও আজ প্রধানমন্ত্রীকে যথেচ্ছ বিঁধেছেন নেটিজ়েনরা। তাঁদের দাবি, জনজাগরণের কাছে হার মেনেছে বিজেপির আইটি সেল। এক জনের কথায়, ‘‘গণভোটের ফল দেখে এ বার অন্তত লজ্জা পাওয়া উচিত নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের।’’ আর এক জন লিখলেন, ‘‘আগে সরকারের সব জায়গায় ইন্টারনেট চালু করা উচিত। তা-হলেই বিরোধিতার আসল বহর টের পাওয়া যাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

BJP CAA NRC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy