পোখরায় প্যারাগ্লাইডিং করে গোরক্ষপুর হয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল চার জনের। ছবি : টুইটার থেকে।
অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে শুক্রবার নেপালে এসেছিলেন চার ভারতীয় যুবক। যাত্রাপথের পুরোটাই তারা মশগুল ছিলেন সেই অ্যাডভেঞ্চারের গল্পে। যে গাড়িতে তাঁরা নেপালে এসেছিলেন, তাতে সওয়ার ছিলেন নেপালেরই এক যুবক। তিনি জানিয়েছেন, গোটা রাস্তাটাই ওই চার জন পরিকল্পনা করতে করতে এসেছিলেন পোখরার প্যারাগ্লাইডিং করার বিষয়ে।
রবিবার সকালের বিমান দুর্ঘটনায় রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি, ওই বিমানের পাঁচ ভারতীয় যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে কি না। নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, এঁদের নাম— অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২), অনিল কুমার রাজভর (২৭), সোনু জয়সওয়াল (৩৫) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল। এঁদের মধ্যেই ছিলেন ওই চার জন।
গত শুক্রবার ওই চার যুবকের সঙ্গে নেপালের কাঠমান্ডু এসে পৌঁছন নেপালের বাসিন্দা অজয়কুমার শাহ। তিনি দক্ষিণ নেপালের সারলাহি জেলার বাসিন্দা। অজয় জানিয়েছেন, একই গাড়িতে আসায় যাত্রাপথে আলাপ হয়েছিল ওই দলটির সঙ্গে। অজয়কে নিজেদের বেড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।
অজয় জানিয়েছেন, শুক্রবার এসে পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই গৌশালায় ছিল দলটি। তার পর একটি হোটেলে চলে যায় তারা। সেখান থেকেই রবিবার রওনা হয় পোখরার উদ্দেশে। পোখরায় প্যারাগ্লাইডিং করে গোরক্ষপুর হয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল তাদের। অজয় বলেছেন, ওই দলটিতে বয়সে সবচেয়ে বড় ছিলেন যিনি, তাঁর নাম সোনু। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে। কয়েক দিন আগে পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি।
রবিবারের বিমান দুর্ঘটনার পর নেপালের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই চার জনেরই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy