পওয়ারের পরে এনসিপির দায়িত্বে কে? শুক্রবার বৈঠকে বসছে এনসিপি। ফাইল চিত্র।
শরদ পওয়ারের পর দলের হাল কে ধরবেন, তা ঠিক করতে শুক্রবারেই বৈঠকে বসতে চলেছে এনসিপি। দলের কারা কারা এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তা ঠিক করে দিয়েছেন পওয়ারই। ‘মরাঠা স্ট্রংম্যানে’র পরামর্শ মেনেই একটি কমিটি গঠন করেছে এনসিপি। ওই কমিটিতে রয়েছেন দলের সাংসদ তথা পওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে, মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা তথা পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার, প্রফুল্ল পটেল, জয়ন্ত পাতিল, বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল, অনিল দেশমুখ এবং অন্যান্যরা।
দলে নিজের উত্তরাধিকারী বেছে নিতে বুধবারই বিধায়ক এবং অন্য দলীয় পদাধিকারীদের সঙ্গে সকালে প্রায় ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেন পওয়ার। সন্ধ্যায় নিজ বাসভবন ‘সিলভার ওক’-এ ফের বৈঠকে বসেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই দুই বৈঠকে দলের পওয়ার অনুগামীরা তাঁকে ২০২৬ পর্যন্ত দলের সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে ওই বছরই মেয়াদ শেষ হবে পওয়ারের।
প্রবীণ এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বুধবার শরদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর বাড়িতে। আর সেখান থেকে বেরিয়ে দলীয় নেতৃত্বে ‘সম্ভাব্য পরিবর্তনের’ কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ছগনের দাবি ছিল, শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে দলের পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন। আর অজিত পেতে পারেন মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব। দলের সংগঠনে ভাইপোর গুরুত্বকে ছাঁটার জন্যই পওয়ার সভাপতি পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিনা, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে যায়। তবে কন্যা সুপ্রিয়া এবং ভাইপো অজিতের মধ্যে সম্ভাব্য কোনও সংঘাতের ক্ষেত্র যাতে না তৈরি হয়, তার জন্য এনসিপির কেউ কেউ সুপ্রিয়াকে দলের কার্যকরী সভাপতি করার দাবি তুলেছেন। সে ক্ষেত্রে সভাপতি পদে আপাতত থেকে যেতে পারেন পওয়ারই।
মঙ্গলবার মুম্বইয়ে নিজের আত্মজীবনীর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের অনুষ্ঠানে শরদ নাটকীয় ভাবে এনসিপির সভাপতি পদ ছাড়ার ঘোষণা করতেই মরাঠা রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এই সিদ্ধান্তে দলের নেতাকর্মীরা আপত্তি জানালে পওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সময় নিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy