বস্তারের গ্রামে প্রথম বার জাতীয় পতাকা উত্তোলন। —ফাইল চিত্র।
গোটা দেশ যখন ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে মশগুল, প্রথম বার তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করবে ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বলে পরিচিত বস্তার এলাকার অন্তত ছ’টি গ্রাম। এই ছ’টি গ্রামের আশপাশে নতুন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এতেই কোণঠাসা মাওবাদীরা।
১৯৪৭-এর ১৫ অগাস্টের পর কেটে গিয়েছে প্রায় আট দশক। কিন্তু এত দিনে এক বারও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সুযোগ পাননি বিজাপুর জেলার চিন্নাগেলুর, তিমেনার এবং হিরোলি গ্রামের বাসিন্দারা। একই অবস্থা সুকমা জেলার বেদরে, ডুব্বামারকা এবং টোন্ডামারকা গ্রামেরও। বস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই ছ’টি গ্রামের বাসিন্দারা এ বার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বার এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে।
এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করবে সুকমা জেলার পিডামেল, ডুব্বাকোনটা, সিলগের এবং কুন্দেদ গ্রাম। এই চারটি গ্রামে এ বারই প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবসে। এ বার স্বাধীনতা দিবসও পালিত হবে গ্রামে।
পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, গ্রামগুলির খুব কাছাকাছি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। যা মাওবাদীদের পিছনে ঠেলতে সাহায্য করেছে। এর ফলে স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে কালো পতাকা উত্তোলনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগে প্রতি বছরই এমন দিনগুলিতে কালো পতাকা উত্তোলন করত মাওবাদীরা।’’ প্রসঙ্গত, মাওবাদীরা মনে করেন, দেশের নিপীড়িত, শোষিত মানুষ এখনও পরাধীন। তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই বনেজঙ্গলে চলছে বলেও দাবি করে অধুনা নিষিদ্ধ অতিবাম রাজনৈতিক সংগঠনটি।
পুলিশের দাবি, নতুন ক্যাম্প তৈরির ফলে সরকারি সুযোগসুবিধাও সরাসরি ওই অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। তাতে বঞ্চনার অভিযোগকে শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে। পুলিশের দাবি, গত তিন দশক ধরে এই এলাকায় মাওবাদীদের রমরমা ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থাকেই হাতিয়ার করে তাঁরা স্থানীয়দের সমর্থন আদায় করেছে। মাওবাদীদের কব্জা থেকে বস্তার এলাকাকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেনি নিরাপত্তাবাহিনী। স্বাধীনতার পর কেটে গিয়েছে ৭৭ বছর। এত দিনে কেন ওই এলাকায় ন্যূনতম পরিষেবাটুকু দেওয়া গেল না, তা নিয়ে যদিও প্রশ্ন থাকছে। এই পরিস্থিতিতে বস্তার এলাকার একাধিক গ্রামে স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy