ছবি: পিটিআই।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তবু হিন্দুত্বের রাস্তা থেকে সরছেন না নরেন্দ্র মোদীরা। দল জানিয়ে দিয়েছে, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন দীর্ঘ সময়ের দাবি ছিল। তার সুফল বোঝাতে পথে নামবে দল। এ দিকে আজ দেশে শান্তি ফেরাতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রতিবাদ দুভার্গ্যজনক, পীড়াদায়ক। বিতর্ক, আলোচনা ও ভিন্নমত পোষণ করা গণতন্ত্রের অঙ্গ। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও জনজীবন বিপর্যস্ত করা দেশের সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। বিরোধীদের মতে, এনআরসি থেকে নাগরিকত্ব আইন– এগুলি সবই সরকারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল।
দেশের ছাত্রসমাজের একাংশ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামলেও, বিজেপি শিবিরের দাবি, দেশের স্বার্থে এই আইন রূপায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর। ঘরোয়া মহলে বিজেপি নেতারা বলছেন, কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার, তিন তালাক, রাম মন্দিরের পরে অ-মুসলিম বিদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া— নির্দিষ্ট নীতি মেনেই এগোচ্ছে তারা। যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে যাওয়া। বিজেপি নেতারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু শরণার্থী ভোটও তাদের নিশানা।
Violent protests on the Citizenship Amendment Act are unfortunate and deeply distressing.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 16, 2019
Debate, discussion and dissent are essential parts of democracy but, never has damage to public property and disturbance of normal life been a part of our ethos.
গত কালকের প্রতিবাদের প্রেক্ষাপটে আজ শান্তির বার্তা দিতে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক টুইটে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয়দের ওই আইন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। যারা অন্য দেশে দীর্ঘ দিন ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, ভারত ছাড়া যাদের যাওয়ার জায়গা ছিল না, ওই আইন কেবল তাদের জন্য।’’ প্রধানমন্ত্রী নিজের বার্তায় শান্তি, ঐক্য ও সৌভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বিভাজনের রাজনীতিতে দলের ফায়দা হবে বলেই মনে করছে বিজেপি। ধর্মীয় মেরুকরুণ উস্কে দিতে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঝাড়খণ্ডে বলেন, ‘‘আগামী চার মাসের মধ্যে অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ে ফেলা হবে।’’
আরও পড়ুন: মোদীর ‘পোশাক’ মন্তব্যেই কি বেড়েছে পুলিশের সাহস?
The need of the hour is for all of us to work together for the development of India and the empowerment of every Indian, especially the poor, downtrodden and marginalised.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 16, 2019
We cannot allow vested interest groups to divide us and create disturbance.
বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি হল, সরকার পরিকল্পিত ভাবে এই অস্থিরতা তৈরি করছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর মতে, ‘‘সরকারের কাজ হল শান্তি সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি করা। উল্টে মোদী সরকার ধার্মিক উন্মাদনা ও হিংসা ছড়াচ্ছে। বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করে নিজের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা সরকারের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy