প্রতীকী ছবি।
সংসদের চলতি অধিবেশনে উভয় কক্ষেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি পাশ করাতে চান নরেন্দ্র মোদী। এর জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে তাঁর দল ও সরকার। অন্য দলের সাংসদ ভাঙিয়ে এনে ও অধিবেশনের মেয়াদ বাড়িয়ে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সংসদের অধিবেশন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যসভাকে আজ জানিয়েও দেওয়া হয়েছে, সরকার সামনের সপ্তাহেই এই বিল নিয়ে আসতে চায়।
লোকসভায় বিলটি পেশ হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তা পাশ হয়ে যাবে বলে বিজেপি মনে করছে। তারা এখন উচ্চকক্ষের কাঁটা দূর করাতে মরিয়া। সেখানে গরিষ্ঠতা নেই সরকারের। গত কয়েক দিন ধরেই নানা দলের সাংসদদের বিজেপিতে নিয়ে আসার হিড়িক পড়েছে। টিডিপি, আইএনএলডি, এসপির সাংসদদের নিয়ে আসা হয়েছে বিজেপিতে। নজরে রয়েছেন এসপির আরও চার ও বিএসপির দু’জন রাজ্যসভা সদস্য। এ সব নিয়ে সংসদের সেন্ট্রাল হলেও চলছে বিস্তর আলোচনা। বিরোধী দলের এক সাংসদ বিজেপির এক নেতাকে রসিকতা করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে বলে দল ভাঙানোর একটি মন্ত্রক খুলুন না আলাদা করে।’’ বিজেপির নেতাটিও জবাব দেন, ‘‘আমাদের দলে সদস্য সংগ্রহ অভিযান তো চলছেই। সংসদেও অন্য দলের সাংসদদের স্বাগত জানাতে পৃথক কাউন্টার খোলা হয়েছে।’’
নতুন সরকার আসার পরে বিরোধীদের সহযোগিতায় অনেক দিনই প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে লোকসভা। বিপুল গরিষ্ঠতা থাকায় সেখানে বিল পাশ নিয়ে চিন্তা নেই সরকারের। রাজ্যসভায় অধিবেশনের মেয়াদ বাড়লে সাংসদ জোগাড় করতে ও তিন তালাকের মতো বিল পাশ করিয়ে নিতে হাতে আরএকটু সময় পাবে বিজেপি। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিরোধীদের কোনও বার্তা অবশ্য দেওয়া হয়নি এখনও। ঘরোয়া স্তরে আলোচনা করে মন বুঝে নিতে চাইছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী চান, অধিবেশন এক সপ্তাহ বাড়াতে। অধিকাংশ বিরোধী দলই জানিয়েছে, বড় জোর তিন দিন হতে পারে। তাদের যুক্তি, সাংসদের প্রায় সকলেরই পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। কংগ্রেসের সাংসদ কার্তি চিদম্বরমের কথায়, ‘‘নির্বাচনী কেন্দ্রে কাজ রয়েছে আমাদের। সেখানে যেতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy